ঢাকা ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo পানছড়ির জিয়ানগরে ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া-ভোট ফর ধানের শীষ ক্যাম্পেইন অনুষ্টিত Logo সব সরকারি কলেজে শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন, পরীক্ষাও স্থগিত Logo ১৬ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে প্রথম সুষ্ঠু নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা Logo জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করল বাংলাদেশ Logo শান্তি সম্মেলনে গাজা পুনর্গঠন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত Logo আমেরিকান দূতাবাসের সামনে হঠাৎ নিরাপত্তা জোরদার Logo বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ আজিজ মিয়ার শেষ বিদায়ে হাজার মানুষের ঢল Logo ঝালকাঠিতে এ্যাড. শাহাদাৎ হোসেনের গণসংযোগ Logo ঈশ্বরগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে সচেতনতামূলক মহড়া Logo রাজাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালন র‌্যালি, আলোচনা সভা ও মহড়া অনুষ্ঠিত

শান্তি সম্মেলনে গাজা পুনর্গঠন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত

Doinik Astha
Doinik Astha
  • আপডেট সময় : ১০:৫৫:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১০১৩ বার পড়া হয়েছে

মিশরের লোহিত সাগরের উপকূলীয় শহর শারম আল-শেখে চলমান ঐতিহাসিক শান্তি সম্মেলনের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, যেখানে অংশ নেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, জর্ডানের রাজা, ফ্রান্স ও তুরস্কের রাষ্ট্রপতি, কাতারের আমির, জার্মানির চ্যান্সেলর, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী এবং সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

রাষ্ট্রপতির দপ্তরের মুখপাত্র জানান, বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়ন ও পরবর্তী পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক সমন্বয় জোরদার করা। অংশগ্রহণকারী নেতারা গাজার মানবিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

রাষ্ট্রপতির মুখপাত্র রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আল-শেনাউই জানান, প্রেসিডেন্ট আল-সিসি নভেম্বর ২০২৫-এ ‌‘প্রারম্ভিক পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠনবিষয়ক কায়রো সম্মেলন’ আয়োজনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, শারম আল-শেখ শান্তি সম্মেলনের সৃষ্ট ইতিবাচক গতিকে কাজে লাগিয়ে এই সম্মেলন হবে গাজার পুনর্গঠনের একটি নতুন মাইলফলক।

প্রেসিডেন্ট আল-সিসি আরও বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোর উচিত গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে উৎসাহিত করা।

তিনি জানান, বর্তমানে মিশর ও জর্ডান ফিলিস্তিনি পুলিশের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং এই উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে ইউরোপীয় সহায়তা অপরিহার্য।

অংশগ্রহণকারী দেশগুলো গাজা উপত্যকায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পাঠানো, ধ্বংসস্তূপ অপসারণ এবং আন্তর্জাতিক সমন্বয় কাঠামো গঠনের প্রস্তাবে একমত হন। এই কাঠামোর মাধ্যমে দেশগুলো নির্দিষ্ট পদক্ষেপ চিহ্নিত করবে, যেন যুদ্ধবিরতির পর গাজার পুনর্গঠন ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা যায়।

শারম আল-শেখ শান্তি সম্মেলনের এই বৈঠক আঞ্চলিক সহযোগিতা ও মানবিক সংহতির এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ট্যাগস :

শান্তি সম্মেলনে গাজা পুনর্গঠন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় : ১০:৫৫:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

মিশরের লোহিত সাগরের উপকূলীয় শহর শারম আল-শেখে চলমান ঐতিহাসিক শান্তি সম্মেলনের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, যেখানে অংশ নেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, জর্ডানের রাজা, ফ্রান্স ও তুরস্কের রাষ্ট্রপতি, কাতারের আমির, জার্মানির চ্যান্সেলর, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী এবং সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

রাষ্ট্রপতির দপ্তরের মুখপাত্র জানান, বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়ন ও পরবর্তী পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক সমন্বয় জোরদার করা। অংশগ্রহণকারী নেতারা গাজার মানবিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

রাষ্ট্রপতির মুখপাত্র রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আল-শেনাউই জানান, প্রেসিডেন্ট আল-সিসি নভেম্বর ২০২৫-এ ‌‘প্রারম্ভিক পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠনবিষয়ক কায়রো সম্মেলন’ আয়োজনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, শারম আল-শেখ শান্তি সম্মেলনের সৃষ্ট ইতিবাচক গতিকে কাজে লাগিয়ে এই সম্মেলন হবে গাজার পুনর্গঠনের একটি নতুন মাইলফলক।

প্রেসিডেন্ট আল-সিসি আরও বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোর উচিত গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে উৎসাহিত করা।

তিনি জানান, বর্তমানে মিশর ও জর্ডান ফিলিস্তিনি পুলিশের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং এই উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে ইউরোপীয় সহায়তা অপরিহার্য।

অংশগ্রহণকারী দেশগুলো গাজা উপত্যকায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পাঠানো, ধ্বংসস্তূপ অপসারণ এবং আন্তর্জাতিক সমন্বয় কাঠামো গঠনের প্রস্তাবে একমত হন। এই কাঠামোর মাধ্যমে দেশগুলো নির্দিষ্ট পদক্ষেপ চিহ্নিত করবে, যেন যুদ্ধবিরতির পর গাজার পুনর্গঠন ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা যায়।

শারম আল-শেখ শান্তি সম্মেলনের এই বৈঠক আঞ্চলিক সহযোগিতা ও মানবিক সংহতির এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।