যশোরের শার্শা মডেল সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালযের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম’র বিরুদ্ধে বিদ্যালয় থেকে ইটের খোয়া চুরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহষ্পতিবার সকালে ইটের খোয়া গুলো ভ্যানে করে বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে আটক। জানাযায়, বৃহষ্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ে রক্ষিত ১৫ বস্তা ইটের খোয়া ভাড়ায় চালিত একটি ভ্যানে করে বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা আটক করে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেয়।
পরে উপজেলা প্রশাসন খবর পেয়ে ভ্যান বোঝাই খোয়াসহ প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামকে আটক করে নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয় এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে উপজেলা প্রশাসন। এলাবাসীরা জানান, প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম একজন দূর্ণীতিবাজ ও খারাপ প্রকৃতির লোক। সে কিছুদিন আগে এ বিদ্যালয় থেকে পুরাতন রড ও ইট চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনগন আটকিয়ে রাখে।
পরে হাতে পায়ে ধরে ছাড়িয়ে যায়। এ ছাড়াও ইতি পূর্বে সে ২০১৫ সালে অত্র বিদ্যালয় থেকে সরকারী বই-খাতা চুরি করে বিক্রয়ের অভিযোগে উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা প্রদান করে জেল হাজতে পাঠায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস থেকে ঝাড়–দারের মোবাইল ফোন চুরি করে। নারী কেলেংকারীসহ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীকে শারিরীক ভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি স্থানীয় সংসদ সদস্যের মাধ্যমে ইটের খোয়া গুলো ক্রয় করেছি তার সঠিক ভাউচার আছে এবং সে নিজেকে নিরাপরাধ দাবী করেন। এব্যাপারে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা বলেন, খবর পেয়ে ভ্যান বোঝাই ইটের খোয়াসহ প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামকে আটক করে নিয়ে আসা হয়। সে বলে ইটের খোয়া গুলো ক্রয় করেছে তার সঠিক ভাউচার আছে। পরে মুসলেকা দিয়ে প্রধান শিক্ষককে ছেড়ে দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।