ঢাকা ১১:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:

শীতকাল হচ্ছে মুমিনের বসন্তকাল

Rayhan Zaman
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১০৩২ বার পড়া হয়েছে

শীতকাল হচ্ছে মুমিনের বসন্তকাল

মুসনাদে আহমদে আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শীতকাল মুমিনের বসন্তকাল।’ বায়হাকিসহ অনেকের বর্ণনায় এভাবে এসেছে, ‘শীতকাল মুমিনের বসন্তকাল; কারণ শীতের রাত দীর্ঘ হওয়ায় মুমিন রাত্রিকালীন নফল নামাজ আদায় করতে পারে এবং দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখতে পারে।’ অর্থাৎ সহজে অনেক ফজিলতপূর্ণ ইবাদতের সুযোগ লাভের কারণে শীতকাল মুমিনের জন্য বসন্তকাল হয়ে ওঠে।

আমের ইবনে মাসউদ বর্ণনা করেন, নবিজি (সা.) বলেছেন, শীতল গনিমত হচ্ছে শীতকালে রোজা রাখা। (সুনানে তিরমিজি)

এ ছাড়া ওমরসহ (রা.) অনেক সাহাবীদের থেকেও এ রকম বক্তব্য বর্ণিত রয়েছে। ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে তিনি বলেছেন, ‘শীত ইবাদতকারীদের গনিমতস্বরূপ।’ (হিলয়াতুল আউলিয়া) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, শীত এলে তিনি বলতেন, ‘স্বাগতম শীতকাল! শীতকালে বরকত অবতীর্ণ হয়। নামাজের জন্য শীতের রাতগুলো দীর্ঘ হয়, রোজার জন্য দিনগুলো সংক্ষীপ্ত হয়।’

এ বক্তব্যগুলো থেকে স্পষ্ট যে, শীতকালকে আমাদের অনুসরণীয় সাহাবিরা সহজে ইবাদতের বিরাট সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতেন। রাতের একটি অংশে জেগে নামাজ পড়তেন, দিনে রোজা রাখতেন। আমরাদেরও উচিত শীতকালে বেশি বেশি ইবাদত করা, নামাজ পড়া, রোজা রাখা, যেন নবিজি (সা.) ও তার সম্মানিত সাহাবিদের মতো শীতকাল আমাদের জীবনেও ইবাদতের বসন্তকাল হয়ে উঠতে পারে।

নামাজ-রোজার পাশাপাশি শীতকালে শীতার্ত মানুষকে শীতবস্ত্র দান করেও আমরা বিপুল সওয়াব লাভ করতে পারি। রাসুল (সা.) বলেছেন, কোন মুসলিম তার কোন বিবস্ত্র মুসলিম ভাইকে কাপড় পরিধান করালে আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতের সবুজ পোশাক পরিধান করবেন। কোন মুসলিম তার ক্ষুধার্ত মুসলিম ভাইকে খাবার খাওয়ালে আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন। কোন মুসলিম তার কোন তৃষ্ণার্ত মুসলিম ভাইকে পানি পান করালে আল্লাহ তা’আলা তাকে মোহরাঙ্কিত স্বর্গীয় সুধা পান করাবেন। (সুনানে আবু দাউদ, সুনানে তিরমিজি)

শীতকাল হচ্ছে মুমিনের বসন্তকাল

আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

মুসনাদে আহমদে আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শীতকাল মুমিনের বসন্তকাল।’ বায়হাকিসহ অনেকের বর্ণনায় এভাবে এসেছে, ‘শীতকাল মুমিনের বসন্তকাল; কারণ শীতের রাত দীর্ঘ হওয়ায় মুমিন রাত্রিকালীন নফল নামাজ আদায় করতে পারে এবং দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখতে পারে।’ অর্থাৎ সহজে অনেক ফজিলতপূর্ণ ইবাদতের সুযোগ লাভের কারণে শীতকাল মুমিনের জন্য বসন্তকাল হয়ে ওঠে।

আমের ইবনে মাসউদ বর্ণনা করেন, নবিজি (সা.) বলেছেন, শীতল গনিমত হচ্ছে শীতকালে রোজা রাখা। (সুনানে তিরমিজি)

এ ছাড়া ওমরসহ (রা.) অনেক সাহাবীদের থেকেও এ রকম বক্তব্য বর্ণিত রয়েছে। ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে তিনি বলেছেন, ‘শীত ইবাদতকারীদের গনিমতস্বরূপ।’ (হিলয়াতুল আউলিয়া) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, শীত এলে তিনি বলতেন, ‘স্বাগতম শীতকাল! শীতকালে বরকত অবতীর্ণ হয়। নামাজের জন্য শীতের রাতগুলো দীর্ঘ হয়, রোজার জন্য দিনগুলো সংক্ষীপ্ত হয়।’

এ বক্তব্যগুলো থেকে স্পষ্ট যে, শীতকালকে আমাদের অনুসরণীয় সাহাবিরা সহজে ইবাদতের বিরাট সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতেন। রাতের একটি অংশে জেগে নামাজ পড়তেন, দিনে রোজা রাখতেন। আমরাদেরও উচিত শীতকালে বেশি বেশি ইবাদত করা, নামাজ পড়া, রোজা রাখা, যেন নবিজি (সা.) ও তার সম্মানিত সাহাবিদের মতো শীতকাল আমাদের জীবনেও ইবাদতের বসন্তকাল হয়ে উঠতে পারে।

নামাজ-রোজার পাশাপাশি শীতকালে শীতার্ত মানুষকে শীতবস্ত্র দান করেও আমরা বিপুল সওয়াব লাভ করতে পারি। রাসুল (সা.) বলেছেন, কোন মুসলিম তার কোন বিবস্ত্র মুসলিম ভাইকে কাপড় পরিধান করালে আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতের সবুজ পোশাক পরিধান করবেন। কোন মুসলিম তার ক্ষুধার্ত মুসলিম ভাইকে খাবার খাওয়ালে আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন। কোন মুসলিম তার কোন তৃষ্ণার্ত মুসলিম ভাইকে পানি পান করালে আল্লাহ তা’আলা তাকে মোহরাঙ্কিত স্বর্গীয় সুধা পান করাবেন। (সুনানে আবু দাউদ, সুনানে তিরমিজি)