আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফের বিতর্কে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তিনি কাশ্মীরে সন্ত্রাস ছড়াতে আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের থেকে নিয়মিত টাকা নিতেন বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সাবেক পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আবিদা হুসেন। নওয়াজ শরিফের মন্ত্রিসভার সদস্য আবিদা বলেছেন, লাদেনের থেকে টাকা নিতেন নওয়াজ শরিফ। তবে বিষয়টি অত্যন্ত জটিল। ওসামা আর্থিক মদত দিত।
এদিকে, কয়েকদিন আগেই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ’র সদস্য ফারুখ হাবিব অভিযোগ তুলেছেন, দেশে বিদেশি লগ্নির বেশির ভাগটাই দিয়েছেন লাদেন। শুধু তাই নয়, লাদেনকে কাজে লাগিয়ে বেনজির ভুট্টোর সরকারকে উচ্ছেদ করছেন নওয়াজ। এবার খোদ তৎকালীন মন্ত্রিসভার সদস্যের এমন মন্তব্যে রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন বিরোধী নেতা নওয়াজ শরিফ। তবে বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তান সরকার ও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির মধ্যে সম্পর্ক নতুন কিছু নয়। ইমরান খানের প্রশাসনও ব্যতিক্রমী নয়।
আরও পড়ুন:সেনা অভ্যুত্থানে: জাপান, থাইল্যান্ডে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ
উল্লেখ্য, বর্তমানে চিকিৎসার জন্য পাকিস্তানের বাইরে রয়েছেন নওয়াজ শরিফ। দু’টি দুর্নীতি মামলায় তাকে বারবার সমন পাঠানো হলেও আদালতে হাজির হননি তিনি। তারপরই গত ডিসেম্বর মাসে তাকে ‘ঘোষিত অপরাধী’ হিসেবে ঘোষণা দেয় বিচারপতি আমের ফারুক ও বিচারপতি মহসিন আক্তার কয়ানির বেঞ্চ। আদালত সূত্রে খবর, আল-আজিজিয়া ও অ্যাভেনফিল্ড মামলার রায়ের বিরোধিতা করে, শরিফের তরফে দায়ের করা আবেদনের প্রেক্ষিতেই শুনানির দিন ধার্য হয়েছিল। যথারীতি শরিফ হাজির ছিলেন না। যার ফলে ক্ষুব্ধ হয় ইসলামাবাদ হাই কোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ।