সরকারী গাছ কেটে খালী হচ্ছে বন।
হুমায়ুন কবির, স্টাফ রিপোর্টার: কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার রাস্তার পাশের সরকারী গাছ কাটার হিড়িক পড়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, কিছুদিন পূর্বে সেকান্দর নগর নয়া পাড়ার একটি জামিয়াতুস সুন্নাহ মাদ্রাসা সংলগ্ন রাস্তার পাশের শিশু গাছ মাদ্রাসার শিক্ষক কেটে নিয়ে যায়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঐ মাদ্রাসার শিক্ষক ফখরুদ্দিন বলেন যে, ইউএনও সাহেবের মৌখিক অনুমতি নিয়েই গাছ কেটেছি। দড়ি জাহাংগীরপুর গ্রামে কিছুদিন পূর্বে ৫ টি মেহগনি গাছ কাটার অভিযোগ উঠলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মাহমুদ পাঁচটি গাছের গোড়া জব্দ করলেও গাছের অবশিষ্ট অংশ পাওয়া যায় নি।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যবস্থা নিবেন বললেও এখন পর্যন্ত কোন দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। এর কিছুদিন পরই দড়ি জাহাংগীরপুর গ্রামে ৫ টি মেহগনি গাছ রাস্তা থেকে কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠে। এই বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন সরেজমিনে তদন্ত করতে গেলে তিনি গাছ কাটার সত্যতা পান।
এখানে দেখা যায় যে, কাটা গাছের গোড়া মাটি দিয়ে ভরাট করে আলামত নষ্ট করা হয়েছে। পরে মাটি খুঁড়ে গাছ কাটার সত্যতা উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ সেকান্দর নগর গ্রামের নয়া রাস্তার পাশে কুয়েত প্রবাসী আসাদ মিয়ার বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে আনুমানিক এক লক্ষ টাকা মূল্যমানের একটি শিশু গাছ কেটে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছে।
এই বিষয়ে প্রবাসী আসাদ মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি গাছ কাটার কথা অস্বীকার করলেও কিছুদিন পূর্বে ইউএনও সাহেবের কাছে গাছ কাটার অনুমতি প্রার্থনা করেছিলেন এবং ইউএনও সাহেব মৌখিকভাবে বিষয়টি দেখবেন বলেন। আসাদের শ্যালক মহিবুল গাছ কাটার সত্যতা স্বীকার করেন। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন এর তহশিলদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যে, গাছটি আমার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ইউএনও সাহেবের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস দেন। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, প্রশাসন এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়ায় একের পর এক সরকারি গাছ কাটার ঘটনা ঘটেই চলেছে।