হিমেল: মরগানের নেতৃত্বে প্রথম জয় পেল কোলকাতা নাইট রাইডারস। সুপার ওভারে সানরাইজারস হায়দ্রাবাদ কে হারিয়ে নিজেদের ৫ম জয় তুলে নেয় মরগান বাহিনী। দীনেশ কার্তিক নেতৃত্ব ছেড়ে দেয়ার পর এটা ছিল মরগানের ২য় ম্যাচ।
টস জিতে কোলকাতা কে ব্যাটিং এ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় হায়দ্রাবাদ ক্যাপ্টেন ওয়ার্নার।পাওয়ার প্লে ভালো কাজে লাগায় কোলকাতা।৬ ওভারে ৪৮ রান করে তারা। যদিও পাওয়ার প্লের শেষ বলে রাহুল ত্রিপাতির উইকেট হারায় কোলকাতা। নাতারাজানের বলে বোল্ড আউট হন তিনি। আউট হওয়ার আগে ১৬ বলে ২৩ রান করে।
১৫ ওভার শেষে ১০৪ রানে ৪ উইকেট হারালে একটু চাপে থাকে কোলকাতা। সেখান থেকে শেষ পর্যন্ত ক্যাপ্টেন ও সাবেক ক্যাপ্টেনের ব্যাটে ১৬৪ রানের টার্গেট দেয় কোলকাতা।দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রান সুবমান গিল করলেও তিনি খেলেন ৩৭ বল যা টিটুয়েন্টির জন্য মানানসই নয়। ২৩ বলে ৩৪ করেন মরগান ও ১৪ বলে ২৯ করেন কার্তিক।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বেয়ারেস্টোর সাথে ওপেন করেন উইলিয়ামসন। পাওয়ারপ্লে তে ৬ ওভারে ৫৮ রান তুলে ভালো শুরু করে হায়দ্রাবাদ। এরপর লোকি ফার্গুসেনের বলে নিতিশ রানার হাতে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ১৯ বলে ২৯ রান করেন তিনি।
এরপর দ্রুতই জনি বেয়ারেস্টো, প্রিয়াম গার্গ, মনীশ পান্ডে, বিজয় সংকরের উইকেট হারিয়ে চাপে পরে হায়দ্রাবাদ। এক সময় তাদের সংগ্রহ হয়ে যায় ১০৯-৫। শেষ ২৮ বলে দরকার হয় ৫৫ রান। আব্দুল সামাদ ১৫ বলে ২৩ করে আউট হয়ে যায়।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৮ রানের প্রয়োজন হয় হায়দ্রাবাদের। পর পর ৩ বলে ৩ টি ৪ মেরে দলের জন্য জয় সহজ করে ফেলে ওয়ার্নার। শেষ বলে দরকার ছিল ২ রানের। ১ রান নেয়ার পর ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।
কলকাতার দায়িত্ব ছাড়লেন কার্তিক, নতুন অধিনায়ক মরগান
সুপার ওভারে ব্যাট করতে নামে ওয়ার্নার ও বেয়ারেস্টো,বোলার লোকি ফার্গুসেন।প্রথম বলেই বোল্ড আউট হয়ে যায় ওয়ার্নার।পিচে আসে সামাদ, প্রথম বলে নেয় ২ রান। ৩য় বলে সামাদ কে বোল্ড করে ফার্গুসেন।কোলকাতার দরকার হয় মাত্র ৩ রানের।
কোলকাতার হয়ে নামে কার্তিক ও মরগান,বোলার রাশিদ খান।প্রথম বল ডট দেয় মরগান।পরের বলে এক রান নেয় মরগান। পরের বল ডট দেয় কার্তিক।
এক সময় রোমাঞ্চকর কিছু হবে মনে হলেও পরের বলে বাই ২ রান নিয়ে দল কে জয় এনে দেয় কার্তিক।
এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের ৪ নাম্বার অবস্থান আরেকটু শক্ত করলো মরগান বাহিনী।