আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইয়েমেন যুদ্ধে জড়িত থাকায় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে চিরতরে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করল ইতালি। দুই দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন দুই আরব দেশে অস্ত্র বিক্রি স্থগিত করে।
আলজাজিরা জানায়, ইয়েমেন যুদ্ধে সংশ্লিষ্টতার কারণে দেড় বছর আগে সৌদি-আমিরাতে অস্ত্র বিক্রি সাময়িকভাবে বন্ধ করে ইতালি। শুক্রবার সেই সিদ্ধান্তকে স্থায়ী রূপ দিল ইউরোপের দেশটি।
এদিন ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইজি দি মাইও বলেন, আজ আমি ঘোষণা দিচ্ছি, সরকার সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা রপ্তানি অনুমতি বাতিল করেছে।
তিনি বলেন, ‘এই কাজটি আমরা যথাযথ বলে বিবেচনা করেছি। এটি আমাদের দেশ থেকে শান্তির পক্ষে পরিষ্কার বার্তা। মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা আমাদের একটি অটুট প্রতিশ্রুতি।’
২০১৯ সালের জুলাইয়ে অস্ত্র বিক্রিতে সাময়িক স্থগিতাদেশ দেওয়ার সময় ইয়েমেনের নাম উল্লেখ করলেও এবার সেটি করেননি ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে দেশটির পিস অ্যান্ড ডিসআর্মানেন্ট নেটওয়ার্ক নামে একটি গ্রুপ সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। সরকারের এ আদেশের ফলে ১২ হাজার ৭০০টিরও বেশি অস্ত্র বিক্রি বাতিল হতে পারে বলে তারা ধারণা করছে।
সৌদির কাছে রপ্তানি বন্ধ হওয়া অস্ত্রের মূল্য অন্তত ১০৫ মিলিয়ন ইউরো এবং আমিরাতের জন্য এর পরিমাণ প্রায় ৯০ মিলিয়ন ইউরো। তবে ইতালির এ সিদ্ধান্তের এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি দুই আরব দেশ।
গত বুধবার সৌদি-আমিরাতের কাছে অস্ত্র বিক্রি সিদ্ধান্ত স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষমতা ছাড়ার আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই আরব দেশের কাছে অত্যাধুনিক ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ বিক্রির এ অনুমোদন দিয়েছিলেন।
এর আগে, ইয়েমেন যুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১৯ সালের নভেম্বরে সৌদি-আমিরাতের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকাও।
ইয়েমেনে সরকারিবাহিনী ও হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে যুদ্ধে গত পাঁচ বছরে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, ঘরছাড়া হয়েছেন কয়েক লাখ। এই যুদ্ধে সরকারি বাহিনীর পক্ষ নিয়েছিল সৌদি-আমিরাত।