ঢাকা ১১:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল Logo গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ জাতিসংঘ আদালতের Logo মাটিরাঙ্গায় গনধর্ষণের শিকার কিশোরী: আটক-২ Logo শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় পাহাড়ে কাজ করছে বিজিবি Logo ন্যায্য দাবি আদায়ে দীঘিনালায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি Logo শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা হবে মোট ১৫ শতাংশ, দুই ধাপে দেওয়া হবে Logo দশমিনায় জেলেদের জিম্মি করে ছাত্রদল নেতার চাঁদাবাজি Logo বেনাপোলে কোটি টাকার বকেয়া আদায়ের দাবিতে আমদানিকারকের সংবাদ সম্মেলন Logo মানবতার আলোর পথে: লালন দর্শনের নতুন পাঠ Logo পরিমাপের ক্ষেত্রে মানসম্মত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম : ড. ইউনূস

হিলিতে বেড়েছে কাঁচামরিচের ঝাঁজ

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০৩:১৫:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১০৫৭ বার পড়া হয়েছে

হিলিতে বেড়েছে কাঁচামরিচের ঝাঁজ

 

জয়নাল আবেদীন জয়/জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের হিলিতে আবারও বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। ক্রেতারা বলছেন, হিলিবাজারে কাঁচামরিচের দাম ডাবল সেঞ্চুরিতে ঠেকেছে। তারা আরও বলছেন, গত রোববার (১৩ আগস্ট) প্রতিকেজি যে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়, আজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। রোববার (২০ আগস্ট) ক্রেতা-বিক্রেতাসহ আমদানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

 

হিলি বাজারে কাঁচামরিচ কিনতে এসে বলেন, ‘গত রোববার প্রতিকেজি কাঁচামরিচ কিনেছি ১২০ টাকা কেজি দরে। ৩০ টাকা দিয়ে ২৫০ গ্রাম কাঁচামরিচ কিনেছিলাম। আর আজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। তাই ২০ টাকা দিয়ে ১০০ গ্রাম কিনতে হলো।

 

খুচরা কাঁচামরিচ বিক্রেতা মো. আশরাফ আলী বলেন, ‘বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ কম। আমরা পাইকারদের কাছ থেকেই ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে কিনে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। গত সপ্তাহে সরবরাহ বেশি ছিল। প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে কিনে ১২০ টাকায় বিক্রি করেছি। সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।

 

পাইকারি কাঁচামরিচ বিক্রেতা মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘হিলি বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি হচ্ছে। কিন্তু এককেজি কাঁচামরিচও স্থানীয় বাজারে ঢুকছে না। আমদানিকারকেরা নিজস্ব ট্রাকে করে বড় বড় মোকামে নিয়ে যাচ্ছেন। তাই আমরা পার্শ্ববর্তী পাঁচবিবি ও বিরামপুর থেকে দেশি কাঁচামরিচ কিনে এনে হিলিতে বিক্রি করছি। প্রতিকেজি গত সপ্তাহে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে কিনে এনে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। এখন পাঁচবিবি ও বিরামপুরের মোকামেও সরবরাহ কমে গেছে। তাই দামও বেড়েছে। গতকাল প্রতিকেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় কিনতে হয়েছে। আর আজ খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। খুচরা বিক্রেতারা ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।

 

হিলি কাস্টম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম সুইট বলেন, ‘হিলিবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি হলেও আমদানিকারকেরা নিজস্ব পরিবহনে করে ঢাকাসহ অন্যান্য মোকামে নিয়ে বিক্রি করছেন। তারা কেউ অল্প পরিমাণে হিলিতে বিক্রি করছেন না। হিলি বাজারে যেসব কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে, সবই দেশি।

 

পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন মল্লিক বলেন, ‘হিলিবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি অব্যাহত আছে। প্রতিদিনই ৩ থেকে ৪ ট্রাক কাঁচামরিচ আমদানি হচ্ছে। দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যেন কাঁচা পণ্য পচে নষ্ট না হয়।

 

প্রসঙ্গত, গেলো বছরের ২৪ আগস্ট থেকে কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ ছিল। ১০ মাস বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের ২৫ জুন থেকে সরকার আবারও ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়। এরপর থেকে শুরু হয় ভারত থেকে কাঁচা মরিচের আমদানি।

ট্যাগস :

হিলিতে বেড়েছে কাঁচামরিচের ঝাঁজ

আপডেট সময় : ০৩:১৫:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩

হিলিতে বেড়েছে কাঁচামরিচের ঝাঁজ

 

জয়নাল আবেদীন জয়/জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের হিলিতে আবারও বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। ক্রেতারা বলছেন, হিলিবাজারে কাঁচামরিচের দাম ডাবল সেঞ্চুরিতে ঠেকেছে। তারা আরও বলছেন, গত রোববার (১৩ আগস্ট) প্রতিকেজি যে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়, আজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। রোববার (২০ আগস্ট) ক্রেতা-বিক্রেতাসহ আমদানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

 

হিলি বাজারে কাঁচামরিচ কিনতে এসে বলেন, ‘গত রোববার প্রতিকেজি কাঁচামরিচ কিনেছি ১২০ টাকা কেজি দরে। ৩০ টাকা দিয়ে ২৫০ গ্রাম কাঁচামরিচ কিনেছিলাম। আর আজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। তাই ২০ টাকা দিয়ে ১০০ গ্রাম কিনতে হলো।

 

খুচরা কাঁচামরিচ বিক্রেতা মো. আশরাফ আলী বলেন, ‘বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ কম। আমরা পাইকারদের কাছ থেকেই ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে কিনে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। গত সপ্তাহে সরবরাহ বেশি ছিল। প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে কিনে ১২০ টাকায় বিক্রি করেছি। সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।

 

পাইকারি কাঁচামরিচ বিক্রেতা মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘হিলি বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি হচ্ছে। কিন্তু এককেজি কাঁচামরিচও স্থানীয় বাজারে ঢুকছে না। আমদানিকারকেরা নিজস্ব ট্রাকে করে বড় বড় মোকামে নিয়ে যাচ্ছেন। তাই আমরা পার্শ্ববর্তী পাঁচবিবি ও বিরামপুর থেকে দেশি কাঁচামরিচ কিনে এনে হিলিতে বিক্রি করছি। প্রতিকেজি গত সপ্তাহে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে কিনে এনে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। এখন পাঁচবিবি ও বিরামপুরের মোকামেও সরবরাহ কমে গেছে। তাই দামও বেড়েছে। গতকাল প্রতিকেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় কিনতে হয়েছে। আর আজ খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। খুচরা বিক্রেতারা ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।

 

হিলি কাস্টম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম সুইট বলেন, ‘হিলিবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি হলেও আমদানিকারকেরা নিজস্ব পরিবহনে করে ঢাকাসহ অন্যান্য মোকামে নিয়ে বিক্রি করছেন। তারা কেউ অল্প পরিমাণে হিলিতে বিক্রি করছেন না। হিলি বাজারে যেসব কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে, সবই দেশি।

 

পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন মল্লিক বলেন, ‘হিলিবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি অব্যাহত আছে। প্রতিদিনই ৩ থেকে ৪ ট্রাক কাঁচামরিচ আমদানি হচ্ছে। দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যেন কাঁচা পণ্য পচে নষ্ট না হয়।

 

প্রসঙ্গত, গেলো বছরের ২৪ আগস্ট থেকে কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ ছিল। ১০ মাস বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের ২৫ জুন থেকে সরকার আবারও ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়। এরপর থেকে শুরু হয় ভারত থেকে কাঁচা মরিচের আমদানি।