প্রযুক্তি ডেস্কঃ
৬০ সেকেন্ডে এক মিনিট, চিরায়ত এই ধারণা এবার পরিবর্তন হতে পারে। এবার এক মিনিটে সেকেন্ডের সংখ্যা কমে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা।
একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিগত কয়েক বছরে পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি তুলনামূলক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানান, ২০২০ সালে সব থেকে ছোট দিনের সংখ্যা ছিল ২৮টি।
১৯৬০ সালের পর এটাই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক কম দিন। বিজ্ঞানীরা আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে বলেছেন ২০২১ সালে দিন আরো ছোট হতে পারে। সময় ও তারিখ অনুযায়ী, সূর্যের প্রতি গড় হিসাবে পৃথিবী প্রতি ৮৬,৪০০ সেকেন্ডে একবারে ঘোরে, যা ২৪ ঘণ্টা বা একটি অর্থ সৌরদিনের সমান।
বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ২০২১ সালের গড় দিনটি ৮৬,৪০০ সেকেন্ডের চেয়ে ০.০৫ মিলি সেকেন্ড কম হবে। পৃথিবী তার নিজ অক্ষে একবার ঘুরতে সময় নিচ্ছে ২৩ ঘণ্টা ৫৯ মিনিট ৫৯.৯৯৯৮৯২৭ সেকেন্ড। এর ফলে ২০২১ সাল সাধারণ বছরের থেকে ১৯ মিলি সেকেন্ড ছোট হবে, যা গড়ে প্রতিদিন প্রায় ০.৫ মিলি সেকেন্ড কম।
সময়ের এই অসামঞ্জস্য নতুন নয়। হ্রাস পাওয়া সময়ের হেরফেরের সমাধান করতেই কোনো কোনো বছরে এক ‘লিপ সেকেন্ড’ যোগ করা হয়। ষাটের দশকে আণবিক ঘড়ি আবিষ্কারের পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৭ বার এমন ‘লিপ সেকেন্ড’ যোগ করা হয়েছে। শেষবার ‘লিপ সেকেন্ড’ যোগ করা হয় ২০১৬ সালে।
গবেষণা বলছে, তারপর থেকেই পৃথিবী তার স্বাভাবিক ঘূর্ণন গতির থেকে জোরে ঘুরছে। তাই বিজ্ঞানীরা সমতা ফিরিয়ে আনতে ‘ঋণাত্মকলিপ সেকেন্ড’ প্রণয়নের পরামর্শ দিয়েছেন।