DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাশনিবার ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ঢাকাশনিবার ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আজকের সর্বশেষ সবখবর

অহংকার পতনের মূল

DoinikAstha
মার্চ ১০, ২০২১ ৪:৫২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

মহান আল্লাহর প্রিয় সৃষ্টি মানুষ। তাদের দয়া-মায়া করে তিনি পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন কেবল তারই ইবাদত করার জন্য। আর মানুষের জীবন সুচারুরূপে চলার জন্য সৃষ্টি করেছেন বিশাল পৃথিবী,। মায়াময় আকাশ, বাতাস, বৃক্ষ-তরুলতা, চাঁদ-সুরুজ আর গ্রহ তারা। অতল সাগর-নদীর মোহন মাঝি, পাহাড় সমতলে পিও পাপিয়ার কলতানরাজি সহ বিপুল নেয়ামতের পুষ্পমালা। আর মানুষকে সুন্দরভাবে চলার জন্য আরও দিয়েছেন হাত-পা, চোখ-কান, ফুসফুস, হার্ট, পরিপাকতন্ত্র প্রভৃতি। এসব কোনো কিছুই মানুষ নিজের যোগ্যতায় অর্জন করেনি। বরং মহান আল্লাহ আপন অনুগ্রহে আমাদেরকে এসব দান করেছেন।

তবুও শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ তার সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে নিজের অর্জিত যোগ্যতা ভেবে বিভ্রান্ত হয়। ফলে গর্ব, অহংকার ও দাম্ভিকতায় চরে পৃথিবী বিচরণ করতে থাকে। নিজেকে খুব বড় মনে করে। অথচ আল্লাহ এসব পছন্দ করে না। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে। ‘তুমি অহংকারবশত মানুষকে অবজ্ঞা কর না এবং পৃথিবীতে দর্পভরে পদচারণ কর না। নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা লোকমান : আয়াত ১৮)

অহংকার এমন এক মন্দ স্বভাব, যার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। আল্লাহ তায়ালা নিজেই অহংকারীদের শাস্তি প্রদান করেন। যার জ্বলন্ত প্রমাণ মানবজাতির চিরশত্রু শয়তান। আল্লাহ তায়ালা শয়তানকে অহংকারের কারণে জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি যখন নির্দেশ দিয়েছি তখন তোকে কীসে সেজদা করতে বারণ করল? সে বলল, আমি তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ। আপনি আমাকে আগুন দ্বারা সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে। আল্লাহ বললেন, তুই এখান থেকে বের হয়ে যা। এখানে অহংকার করার কোনো অধিকার তোর নেই। অতএব তুই বের হয়ে যা। তুই হীনতমদের অন্তর্ভুক্ত।’ (সুরা আরাফ : আয়াত ১২-১৩)

অহংকার সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির অন্তরে একটি সরিষার দানা পরিমাণ ঈমান রয়েছে, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে না এবং যে ব্যক্তির অন্তরে একটি সরিষার দানা পরিমাণ অহংকার রয়েছে, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (মুসলিম)।

তাই আসুন, গর্ব, অহংকার ও দাম্ভিকতা থেকে নিজে বেঁচে থাকি এবং অন্যকে বেঁচে থাকার জন্য পরামর্শ দান করি। আল্লাহ আমাদেরকে তাওফিক দান করুন।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:২২
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:৪৩
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:২৭
  • ১২:১৪
  • ৪:০৩
  • ৫:৪৩
  • ৭:০০
  • ৬:৪১