DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাশুক্রবার ১৮ই জুলাই ২০২৫
ঢাকাশুক্রবার ১৮ই জুলাই ২০২৫

আজকের সর্বশেষ সবখবর

আপিলেও জামিন মেলেনি আলোচিত সেই তুফানের

DoinikAstha
জুন ২, ২০২১ ১২:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

অনলাইন ডেস্কঃ বগুড়ায় বহুল আলোচিত কিশোরী ধর্ষণ এবং কিশোরী ও তার মাকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার বহিষ্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারকে দুদকের মামলায় হাইকোর্টের পর আপিল বিভাগও জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।

আজ বুধবার (২ জুন) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ভার্চ্যুয়াল আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে তুফান সরকারের করা আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন।

আদালতে তুফান সরকারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শরীফ উদ্দিন চাকলাদার। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

গত ১ মার্চ হাইকোর্ট তুফান সরকার ৬ মাস কোনো আদালতে জামিন আবেদন করতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে এ মামলায় তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। একই মামলায় জামিন প্রশ্নে রুল জারি থাকা অবস্থায় ফের জামিন আবেদন করায় এ আদেশ দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন তুফান সরকার। যেটি আজ (বুধবার) খারিজ হয়ে যায়।

আরো পড়ুন :  খাগড়াছড়িতে এনসিপি’র নেত্রী ও নেতার পাল্টাপাল্টি জিডি

রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে, শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। আসামি তুফান সরকারের আয়ের কোনো উৎস ছিল না। তিনি আয়কর রিটার্নে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৫৮ হাজার ৮৮৫ টাকা দেখান।

দুদকের নোটিশে সম্পদের সঠিক হিসাব দেননি তিনি। এ কারণে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর বগুড়া সদর থানার মামলা করেন। এ আসামি ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হয়ে ২০১৭ সালের ২৯ থেকে জেলহাজতে আছেন।

তার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ফের ৯ মার্চ জামিন আবেদন করেন তুফান। তখন বিষয়টি দুদকের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন আদালতের নজরে আনেন। এর পর ১ মার্চ আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, এক কলেজছাত্রীকে কৌশলে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ এবং পরে ধর্ষিতা ও তার মায়ের মাথা ন্যাড়া করার অভিযোগে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই বগুড়া সদর থানায় দুটি মামলা করেন মেয়েটির মা। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই করেন তুফান সরকার। পরে ওইবছরের ২৮ জুলাই তুফানের শ্যালিকা পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বাসায় নিয়ে মা ও মেয়েকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়।

ওই মামলায় সেদিনই পুলিশ প্রধান আসামি তুফান সরকার, তার স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও শ্যালিকা পৌর কাউন্সিলর, নাপিতসহ বেশ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তদন্ত শেষে ধর্ষণ মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১০ জনকে এবং মাথা ন্যাড়া করার মামলায় দণ্ডবিধিতে ১৩ জনকে আসামি করে একই বছরের ১০ অক্টোবর পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরমধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।

আরো পড়ুন :  কক্সবাজারে জামায়াত নেতার হামলায় বিএনপি নেতা নিহত

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
[prayer_time]