এস,এম,স্বাধীন-শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুরের চিকন্দিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৮ জন।
আজ মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দুপুরে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওয়াহেদুজ্জামান খাঁন (৩০) চিকন্দী ইউনিয়নের আবুড়া গ্ৰামের মৃত রমিজ খাঁনের ছেলে। সংঘর্ষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চিকন্দি ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ড সদস্য আলমাছ খাঁন ও সাবেক ইউপি সদস্য তমিজ খাঁনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরা দুজনই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আলমাছ খাঁনের নেতৃত্বে রয়েছেন চিকন্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আকতার খাঁন এবং ফোরহাদ খান। এরই জেরে মঙ্গলবার বিকেল ২ টার দিকে আবুড়া গ্ৰামে তমিজ খাঁনের সমর্থকদের উপর হামলা চালায়, আকতার খান, ফোরহাদ খান ও আলমাছ খাঁনের সমর্থকরা। এসময় উভয় পক্ষের সমর্থকরা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষের সৃয় ১৫ থেকে ২০ টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায় হামলাকারীরা। সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্র ও হাতবোমার আঘাতে উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ওয়াহেদুজ্জামান খাঁন। নিহত ওয়াহেদুজ্জামানের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গুরুতর আহত ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পুনরায় সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নিহতের ভাই নুরুজ্জামান খাঁন বলেন, আকতার খাঁ, ফরহাদ খাঁ ও আলমাছ খাঁ দলবল নিয়া আমার ভাইরে কোবাইয়া মাইরা হালাইছে। এর আগে ওরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতিরেও মানুষের সামনে অপমান অপদস্থ করছে। বহুদিন ধইরাই আমাগো হুমকি দিত। বুঝি নাই এমনে ভাইডারে হারাইমু। এই হত্যাকারীদের ফাঁসি দেইখা যাতে আমি মরতে পারি।মারার আগে দুপুরের পরে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওরা আমার ভাইরে কোপাইয়া মাইরা হালাইলো। এর আগেও আকতার খাঁ, ফরহাদ খাঁ ও আলমাছ খাঁ আমাগো হূমকি দেয় ও মারপিট করে। এই সন্ত্রাসীদের ফাঁসি চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে একাধিকবার চেষ্টা করেও আকতার খান, ফোরহাদ খান, আলমাছ খাঁন ও তমিজ খাঁনের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাই তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় বিরোধের জেরে ২ পক্ষের সমর্থকদের সংঘর্ষে, আহতদের মধ্যে ওয়াহেদুজ্জামান খাঁন নামে এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উভয় পক্ষই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।