ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হোটেল ম্যানেজমেন্ট বিশ্বাস করে অভিজ্ঞতা আর অন্তর্দৃষ্টি, এই দুই গুণ সাফ্যলের চাবিকাঠি। এ কথা মাথায় রেখে, ছাত্রদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য এই প্রতিষ্ঠান বিশ্বের বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। যেমন, ফ্রিলান্স ওয়াইন এবং বেভারেজ কনসালটেন্ট কেথ ডব্লিউ এডগার, আন্তর্জাতিক হসপিটালিটি কাউন্সিল, লন্ডন-এর চেয়ারম্যান ডেভিড ফসকেট এবং শ্যাম্পেনয়েজ় শার্লিন ড্র্যাপিয়ে সরাসরি (লাইভ) ক্লাস নেবেন। বিভিন্ন ধরনের এই বক্তৃতাগুলি, হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রির ভিন্নতার ধরন সম্পর্কে পড়ুয়াদের একটি সত্যিকারের ধারণা তৈরি করতে সাহায্য করবে।
বিশ্বখ্যাত রন্ধন-বিশেষজ্ঞরা নেবেন ক্লাস, বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্পাসিং-এর সুযোগ, বিশ্বের নানান জায়গায় ইন্টার্নশিপ এবং কাজের সুযোগ– সত্যি সত্যিই পড়ুয়াদের গোটা বিশ্বের অনন্য স্বাদ গ্রহণের সুযোগ দিচ্ছে আইআইএইচএম।
আইআইএইচএম-এর কালিনারি ডিরেক্টর শন কেনওয়ার্দি জানালেন, “আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রায় ৫০-৬০ শেফ ভারতে আসছেন খাবারের বৈচিত্র সম্পর্কে ও পৃথিবীর বিভিন্ন খাদ্য-সংস্কৃতি বিষয়ে আমাদের ছাত্রদের ওয়াকিহাল করাতে।”
আন্তর্জাতিক উড়ানের এক জন ক্যাবিন ক্রিউ কেশব কাটারিয়া জানালেন, তিনি আইআইএইচএম-এর বিভিন্ন ইভেন্ট এবং সেশন থেকে অনেক কিছু শিখেছেন।
আরও পড়ুনঃ ইবি’র ১৩তম উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সালাম
অতিমারির সময় সব ক্লাস অনলাইনে হওয়ার জন্য, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বিশ্বের নানা প্রান্তে তাঁদের বাড়ি থেকে ছাত্রদের পড়াতে সক্ষম হয়েছেন।
ফসকেট বললেন, “হসপিটালিটি শিক্ষার ক্ষেত্রে ইউরোপ এবং সারা বিশ্বের কাছে আইআইএইচএম হল নতুন স্বর্ণমান (গোল্ড স্টান্ডার্ড)। আইআইএইচএম-এর পড়ুয়ারা একেবারে খাঁটি সোনা। তারা সত্যিই বিশেষ, ভাল ভাবে শিক্ষিত এবং কাজ পাওয়ার জন্য অত্যন্ত যোগ্য ও উপযুক্ত। ”
ওয়াইন সোমেলিয়ে (ওয়াইন এক্সপার্ট) এডগার জানালেন, আইআইএইচএম সম্ভবত একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা তাদের ছাত্রদের ওয়াইন-এডুকেশন-এর সমস্ত খরচ বহন করে। “আমরা দশ দিনের একটি ওয়াইন ট্যুর করাই, যার পুরো খরচা দেয় আইআইএইচএম। আমরা ওয়াইনারিতে যাই, ওয়াইন যারা বানায় তাঁদের সঙ্গে কথা-বার্তা বলি। ছাত্ররা ভিনিয়ার্ড বা আঙুর-খেতে গিয়ে আঙুর তুলে আনে এবং আঙুর চাষে সাহায্য করে।আমরা ইউরোপের সেরা ওয়াইনারিগুলোতে গিয়েছি। যে সব ওয়াইনারিতে যাওয়া হয়নি, আশা করছি সামনের কয়েক বছরে সেই সব জায়গায় অবশ্যই যাব। ”
ছাত্ররা অন্তিম-বর্ষের পড়াশোনার সময় যে কোনও একটি বিদেশি ক্যাম্পাসে পড়াশোনা করতে পারে এবং লন্ডন, মরিশাস, ব্যাঙ্কক, সিঙ্গাপুর এবং আমেরিকার যে কোনও স্টার হোটেলে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেতে পারে।
আইআইএইচএম-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ মেন্টর ড. সুবর্ণ বোস জানালেন, “এই প্রতিষ্ঠান ছাত্রদের মধ্যে এমন অভিজ্ঞতা তৈরি করে দেয়, যেন তারা ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে অনেক দিন ধরেই আছে এবং সব খুঁটিনাটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। আমরা ইন্ডান্ট্রির সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলি এবং ইন্ডাস্ট্রির ট্রেন্ড ও নতুন ধরনকে গবেষণা ও যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে খুব যত্ন সহকারে আমাদের পাঠ্যক্রমের অঙ্গীভূত করে নিই।”
ভারতের সেলেব্রিটি শেফ রণবীর ব্রার’ও আইআইএইচএম-এর শিক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। তিনি ভারতীয় রান্নার প্রশিক্ষণ দেন। ব্রার জানালেন, “আইআইএইচএম-এ হসপিটালিটি এবং ম্যানেজমেন্ট, দুই শাখার শিক্ষায় সমান জোর দেয়, তাই ছাত্ররা এক এক জন মিনি-সিইও হয়ে বেরোয়।”
আইআইএইচএম-এর প্রাক্তনীরা প্রতি পদে এই প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানায়। তাজ বেঙ্গল হোটেলের ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ম্যানেজার আফজল খান এই প্রতিষ্ঠানের কাছে কৃতজ্ঞ কারণ, “এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার শক্ত ভিতই আমার কেরিয়ারের উন্নতিতে সাহায্য করেছে।”
ফিউচার গ্রুপের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট হেড (ইস্ট) সুবীর দাস জানালেন, এই প্রতিষ্ঠান তাঁর মধ্যে পেশার প্রতি যে প্যাশন ও নিষ্ঠার বীজ বুনে দিয়েছিল, তা-ই হসপিটালিটি ক্ষেত্রে তাঁর ২৩ বছরের চলার পথের কৃতিত্ব।