আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইন্দোনেশিয়া দ্বীপপুঞ্জ ফ্লোরসে আকস্মিক বন্যায় ভূমিধসে অন্তত ৭৫ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির পূর্বাঞ্চলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১০ হাজারের বেশি বাড়িঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। গৃহহীন হয়ে পড়ে কয়েক লাখ বাসিন্দা। সিএনএন খবরে এ তথ্য জানায়।
রোববার (৪ এপ্রিল) দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বিএনপিবি জানিয়েছে, পূর্ব তিমুরে ২ বছরের শিশুসহ অন্তত ৩ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ।
বিএনপিবির মুখপাত্র রাদিত্য জাতি এক বিবৃতিতে বলেছেন, কমপক্ষে ৪৯টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েক ডজন বাড়ি কাদায় ডুবে গেছে। আর কয়েক ডজন বাসিন্দার বাড়িঘর বন্যায় ভেসে গেছে।
এছাড়া ফ্লোরসের পূর্ব দিকে অ্যাডোনারা দ্বীপে একটি সেতু ভেঙে পড়ে। উদ্ধারকারীরা ভারী বৃষ্টি, তীব্র বাতাস এবং তরঙ্গের সঙ্গে লড়াই করে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন।
এদিকে রয়টার্সের খবরে জানায়, এ ঘটনায় দেশটির সরকার হতাহত বা মৃত্যুর সংখ্যা এখনো নিশ্চিত করেনি।
পূর্ব তিমুরের উপপ্রধানমন্ত্রী জোসে রিস এক বিবৃতিতে বলেছেন, “বেশ কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রাণহানি হয়েছে।সেখানে রাস্তা ভেঙে পড়েছে, গাছগুলো ভেঙে পড়েছে। কিছু কিছু জায়গায় চলাফেরায়ও অসুবিধা হচ্ছে।”
ভূমিধসের এই ঘটনাকে গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ‘ভয়াবহ’ বলে অভিহিত করেছেন উপপ্রধানমন্ত্রী জোসে রিস।
এদিকে দেশটির আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় নুশা টেংগারা প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চল এবং পূর্ব তিমুরের উত্তর উপকূলের মধ্যবর্তী সাভু সমুদ্র উপকূলের কাছে পৌঁছে যাওয়ায় আরও বৃষ্টিপাত হতে পারে। আগামী এক সপ্তাহ এমন বৈরী আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে।
শনিবার (৩ এপ্রিল) গভীর রাতে দেশটিতে ভারী বৃষ্টিপাত এবং প্রবল বাতাসে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। প্রবল বৃষ্টিপাতে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদও প্লাবিত হয়।