ভারতীয় অভিনেত্রী ও টিভি শো’য়ের জনপ্রিয় মুখ সানা খান বিনোদন জগতকে চিরদিনের মতো বিদায় জানালেন। সামাজিক মাধ্যমে এ ঘোষণা দিয়ে তিনি জানান, এবার শুধু ধর্ম ও মানবসেবায় মন দেবেন তিনি।সানার প্রশ্ন, পৃথিবীতে মানুষের আসা মানেই কি অর্থ ও খ্যাতির পিছনে দৌড়ানো? সানা তার ইনস্টাগ্রামে পোস্টে লেখেন, জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আমি আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি। বিনোদন জগতে আমি বহু বছর ধরে ছিলাম। এই সময়ে আমি আল্লাহর দয়ায় বহু খ্যাতি, অর্থ ও ভক্তদের থেকে ভালোবাসা পেয়েছি। যার জন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব। কিন্তু কিছুদিন ধরেই একটা জিনিস ভাবছি, পৃথিবীতে মানুষের আসা কি অর্থ ও খ্যাতির পিছনে দৌঁড়ানোর জন্য? দরিদ্র ও অসহায়দের জন্য কাজ করা কি কর্তব্য নয়? একজনের কি ভাবা উচিত নয় যে, তিনি যেকোনও মুহূর্তে মারা যেতে পারেন? এই প্রশ্নের উত্তর আমি খুঁজে বেড়াচ্ছি। বিশেষ করে জানতে চাই মৃত্যুর পরে আমার কী হবে?
সানা বলছেন, আমার ধর্মের মধ্যে এর উত্তর খুঁজতে যাই। বুঝতে পারি, এই পৃথিবীতে জন্ম নিয়ে মৃত্যু পরবর্তী জীবনের উন্নতির জন্য কাজ করা দরকার। সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ মতো যদি একজন ভৃত্য তার জীবনযাপন করেন তাহলেই ভালো। সবসময় অর্থ ও খ্যাতির পিছনে ছুটলেই সেটা হয় না। বরং পাপের রাস্তা ছেড়ে সৃষ্টিকর্তার দেখানো পথেই হাঁটা উচিত।
এরপরই তিনি বলেন, তাই আজ ঘোষণা করছি, আজ থেকে বিনোদন জগত হতে চিরকালের মতো বিদায় নিলাম। আজ থেকে মানবিকতার জন্য কাজ করব এবং সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ মেনে চলব। প্রত্যেক ভাইবোনকে আল্লাহর কাছে আমার জন্য প্রার্থনা করতে বলছি যাতে আমায় এই কাজে তিনি অনুমতি দেন এবং গ্রহণ করেন। আমার সমস্ত ভাইবোনদের অনুরোধ করব, তারা যেন আমার সঙ্গে বিনোদন জগত নিয়ে আর কোনও আলোচনা না করেন। ধন্যবাদ।
বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের জন্মদিন আজ
সানার এই পোস্ট মুহূর্তে ভাইরাল হয় ইন্টারনেট দুনিয়ায়। অনেকেই তার এই হঠাৎ অন্তরালে চলে যাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। তবে তার ব্যক্তিগত এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে শুভ কামনাও করেছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা।
বলিউডের ‘ওয়াজাহ তুম হো’, ‘জয় হো’সহ আরও অনেক আঞ্চলিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন সানা। টেলিভিশনে বেশ কিছু রিয়েলিটি শো’য়ের অংশ ছিলেন তিনি। এছাড়া বিগ বস শো’তেও মাঝেমধ্যেই অতিথি হতেন সানা।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রেমিক মেলভিন লুইসের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে সানার। লুইসের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটান তিনি। এই তিক্ত বিচ্ছেদের পর অনেকটাই বিষণ্নতায় ভুগছিলেন অভিনেত্রী। এবার সকল সঙ্কট ও হতাশা থেকে মুক্তির পথ তিনি ধর্মের মধ্যেই খুঁজে পেলেন।