ওমর ফারুক বিশাল, তাঁর প্রতিটি গানই রুচিশীলতার পরিচয় বহন করে।
সিয়াম সরকার জান, বিনোদন প্রতিনিধিঃ
ওমর ফারুক বিশাল। একজন সফল গীতিকবি। তাঁর প্রতিটি গানই রুচিশীলতার পরিচয় বহন করে। আজকের দৈনিক আস্থা’র আয়োজনে সঙ্গে আছেন গীতিকবি ওমর ফারুক বিশাল। সঙ্গেই থাকুন।
জান: কেমন আছেন?
বিশাল: ব্যক্তিগতভাবে ভালো আছি। এখন সবাই ভালো থাকুক। সবার জন্যই দোয়া করি। খুব দ্রুত করোনাকাল চলে যাক, এই প্রত্যাশাতেই আছি।
জান: দিনকাল চলছে কেমন সব মিলিয়ে?
বিশাল: সবাই ভালো না থাকলে তো আর নিজে খুব বেশি ভালো থাকা যায় না।
জান: আপনি তো এ সময়ের জনপ্রিয় একজন… গীতিকবি। গান লেখার প্রেরণা কোথায় পেলেন?
বিশাল: গান লেখার অনুপ্রেরণাটা এসেছে শিল্প-সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা থেকে। প্রথম প্রেম রবীন্দ্রনাথ। তো এভাবেই আর কি।
জান: কাকে ভেবে গান লেখেন? কে সেই প্রিয়জন?
বিশাল: লিখি তো অনেক কিছু ভেবেই। এই যেমন, লাস্ট একটা গান আমি লিখেছি কাদম্বরী দেবী’কে উৎসর্গ করে! কাদম্বরী দেবী হলো রবীন্দ্রনাথের বৌদি। ঈদের পর বের হবে গানটা।
জান: কিছুদিন আগে আপনি ইন্ডিয়ার বিখ্যাত শিল্পী অনুপম রায়’র সঙ্গে কাজ করেছেন। অভিজ্ঞতা কেমন?
বিশাল: খুবই ভালো। অনুপম রায় অন্যের লেখা প্রথম গান করেছেন, যেটা আমার লেখা। তিনিই নিজেই লেখেন সাধারণত। অন্যের লেখায় কাজ করেন না।
জান: এ পর্যন্ত কতোটি গান বের হয়েছে আপনার?
বিশাল: আমি গান খুব বেশী লিখছি, তা না। আবার সামনেও যে খুব বেশী লিখবো তাও না। কিছু কিছু গান আমার নিজের কাছেই ভালোলাগে নি, মনে হয়েছে, আরও কিছু কম কাজ করলে ভালো হতো। তো সামনে এই ধারাটাতেই থাকবো। আমার ভালোলাগার বাইরে লিখতে চাই না আর।
জান: আপনার সবচেয়ে বেশি হিট হওয়া পাঁচটা গানের নাম বলুন।
বিশাল: এ তালিকায় রয়েছে- ‘আলো নেই আলোতে’, ‘আমার আমার লাগে’, ’পোড়ামন’, ‘তুমি দমে দম’, ‘আমারে দিয়া দিলাম তোমারে’।
জান: আপনার সবচেয়ে অপ্রিয় শিল্পী কে? যাকে আপনার একদমই দেখতে মনে চায় না?
বিশালঃ তোমার এই প্রশ্নটা সাংঘর্ষিক, সিয়াম..। এটা এড়িয়ে যাও!
জান: গীতিকবিরা কেনো এতো নিগৃহীত?
বিশাল: নিজের জায়গা থেকে স্ট্রং থাকো তাহলে আর নিগৃহীত হবার সুযোগ থাকবে না।
জান: মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা এতো খারাপ কেনো?
বিশাল: খারাপ তো হবেই। ইউটিউবের যুগ না এখন! ইউটিউব তো আসলে ভিডিও প্লাটফর্ম, এটা তো গানের প্লাটফর্ম না। আমি মনে করি, ইউটিউবটা এসেই গানের সমস্যাটা করেছে। আমাদের একটা আলাদা মিউজিক প্লাটফর্ম দরকার। এটা নেই আমাদের এখানে। ইউটিউবে আসলে মান যাচাই করা যায় না। যার টাকা আছে সে-ই বুস্টিং করে হিট! সবার আগে আমাদের ভালো গান তৈরির মানসিকতা থাকতে হবে।
জান: একজন স্বনামধন্য গীতিকার হিসেবে আপনার প্রত্যাশা কেমন?
বিশাল: আমার প্রত্যাশা একটাই, আমরা গান করার জন্য গান না করি। কোয়ালিটি সম্পন্ন কাজ করি। সবাই একতাবদ্ধ থাকি। আর কাজ কম হলেও কোনো সমস্যা নেই কোয়ালিটি বজায় রাখি। শিল্পকে শিল্পের মধ্যেই রাখি। এটুকুই প্রত্যাশা।
জান: এবার একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন করি। কতো বছর বয়সে আপনি প্রেমে পড়েছিলেন?
বিশাল: চৌদ্দ বছর বয়সে।
জান: দৈনিক আস্থা’র এই আয়োজন কেমন লাগলো?
বিশাল: খুবই ভালো। আমি দেখেছি, তুমি আরও অনেক গীতিকারের সাক্ষাৎকার নিয়েছো। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। আসলে বেশীরভাগই তো ক্যামেরার সামনের মুখগুলো নিয়ে মেতে থাকে। তবে তোমার ও দৈনিক আস্থা’র এই আয়োজন ভিন্নরকম। খুবই ভালো লাগছে। আরও করো। গীতিকারদের পাশাপাশি সুরকার মিউজিক ডিরেক্টরদের নিয়েও করো। এটা ভালো ও প্রশংসনীয়।
জান: দৈনিক আস্থা ও আমার পক্ষ থেকে আপনার জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা।
বিশাল: তোমার প্রতিও