আবুল ফয়েজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুলের পাহাড়ি এলাকা থেকে নয় রোহিঙ্গাকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে দেশীয় তৈরি বিপুল অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটককৃতরা জেলার উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তারা সম্প্রতি ক্যাম্পে সংঘর্ষ, গোলাগুলি ও খুনের ঘটনায় জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে র্যাব।কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দাদের সঙ্গে অনিবন্ধিতদের আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত পাঁচ দিনে খুন হয়েছে এক নারীসহ চারজন।
সর্বশেষ গতকাল সোমবারও কুতুপালং ক্যাম্পে মোহাম্মদ ইয়াছিন (২৪) নামের এক রোহিঙ্গা যুবক খুন হন। এর আগে গত ৪ অক্টোবর ভোরে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর একইভাবে সংঘর্ষে ১৫ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা আহত হয়। এসব সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় ৫০টিরও বেশি বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতায় কতিপয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কুতুপালং এলাকা ছেড়ে পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছিল বলে জানায় র্যাব। র্যাব-১৫-এর কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, ‘কিছু রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কুতুপালং ক্যাম্পে গোলাগুলি করেছিল। দুদিন আগে র্যাব তাদের ধাওয়া দেয়। একপর্যায়ে তারা কুতুপালং ছেড়ে হোয়াইক্যংয়ের চাকমারকুল এলাকার পাহাড়ে অবস্থান নেয়।
গোপন সূত্রে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় আমরা নয়জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের কাছ থেকে দেশীয় তৈরি চারটি অস্ত্র, ২০ রাউন্ড কার্তুজ ও কিরিচ জব্দ করা হয়েছে।’ এদিকে, গত কয়েক দিনের গোলাগুলি ও খুনের ঘটনায় প্রাণ বাঁচাতে কয়েকশ রোহিঙ্গা কুতুপালং ক্যাম্প ছেড়ে অন্য ক্যাম্পে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে ক্যাম্পের ভেতরের অনেক দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে বলে রোহিঙ্গা নেতারা জানিয়েছেন
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।