করোনা পজিটিভ গোলরক্ষক , গ্লাভস পরে দলকে জেতালেন মিডফিল্ডার
স্পোর্টস ডেস্ক :আর্জেন্টাইন ক্লাব রিভারপ্লেটের চার গোলরক্ষক করোনায় আক্রান্ত। তারা এখন কোয়ারেন্টিনে। এতেও মনোবল ভাঙেনি রিভারপ্লেটের।
নির্ধারিত দিনে সান্তা ফের বিপক্ষে দলের অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার এনজো পেরেজকে গোলরক্ষকের ভূমিকায় দেখা গেল। ম্যাচের শুরুতে মিডফিল্ডারকে গোলরক্ষক হতে দেখে অনেকেই হয়েছেন বিস্মিত। নিশ্চিত পরাজয় দেখছিলেন চোখের সামনে।
কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে নিয়মিত গোলরক্ষক না হয়েও বারের নিচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন ৩৫ বছর বয়সি পেরেজ।সান্তা ফের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ে রিভারপ্লেট।
অবশ্য জয়টা সহজ করে দিয়েছিলেন রিভারপ্লেটের স্ট্রাইকাররা। ম্যাচের ৬ মিনিটের মধ্যেই জোড়া গোল করে দলকে ২-০ তে এগিয়ে নেন তারা।
প্রথমে ৩ মিনিটের মাথায় দলকে এগিয়ে দেন ফাব্রিজিও আঙ্গিলেরি। আর ষষ্ঠ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হুলিয়ান আলভারেজ। এ দুই গোলের সুবাদেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেয় আর্জেন্টাইন ক্লাবটি।
তবে তাতেও রক্ষা হতো না রিভারপ্লেটের। কারণ ম্যাচের ৭০ শতাংশ বল ছিল সান্তা ফের দখলে। একের পর এক আক্রমণে রিভারপ্লেটের জাল ক্ষতবিক্ষত করার চেষ্টা চালিয়ে গেছে তারা।
কিন্তু একবারের বেশি সফল হয়নি তারা। এর জন্য কৃতিত্ব গ্লাভসে হাত গলানো অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার এনজো পেরেজই প্রাপ্য।গোলের উদ্দেশ্যে অন্তত ২২টি শট নিয়েছে সান্তা ফে। যার পাঁচটিই ছিল লক্ষ্য বরাবর।
ম্যাচের ৭৩ মিনিটের সময় কেলভিনের গোলে ব্যবধান কমান তারা। কিন্তু শেষরক্ষা আর হয়নি। জয় তো পরের কথা সমতায় ফিরতে পারেনি সান্তা ফে।রেফারির শেষ বাঁশিতে ২-১ গোলের ব্যবধানে নিয়মিত কোনো গোলরক্ষককে ছাড়াই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিভারপ্লেট।
এ জয়ে ডি গ্রুপের শীর্ষে উঠে গেছে রিভারপ্লেট। গ্রুপের ৫ ম্যাচ শেষে ২ জয় ও ৩ ড্রয়ে তাদের সংগ্রহ ৯ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে সান্তা ফে। ফ্লুমিনেজের সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট আর জুনিয়র এফসির ঝুলিতে রয়েছে ৬ পয়েন্ট।