DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাসোমবার ২৫শে নভেম্বর ২০২৪
ঢাকাসোমবার ২৫শে নভেম্বর ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

কলারোয়ার জননী নার্সিং হোমে মানুষের জীবন নিয়ে বাণিজ্য

DoinikAstha
মে ৭, ২০২১ ৩:৩৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বন্ধের দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ

স্টাফ রির্পোটারঃ কলারোয়ার কাজির হাটে জননী নার্সিং হোমের কোন অনুমোদন না থাকলেও মানুষের জীবন নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে বাণিজ্য। অভিযোগের ভিত্তিতে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দিলেও সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের কতিপয় অসাধু ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছেন ক্লিনিক ব্যবসা। এমনই অভিযোগ করেছেন জননী নার্সিং হোম থেকে চিকিৎসা নিয়ে মানবেতর জীবন কাটানো একাধিক ব্যক্তি।

দ্রুত এ অবৈধ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।
যদিও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আশরাফুল ইসলাম তার প্রতিষ্ঠানের ত্রুটি রয়েছেন মর্মে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ক্লিনিক পরিচালনার ক্ষেত্রে জরুরী বিভাগ, বহি:বিভাগ ও আন্ত:বিভাগ। জরুরী বিভাগে অপারেশন থিয়েটার, ওয়াশরুম, লেবার রুম, অপেক্ষমান কক্ষ, অফিস কক্ষ, প্রশস্ত সিড়ি ও জেনারেটর সুবিধা থাকা অপরিহার্য। বহি:বিভাগ ও আন্ত:বিভাগে পোষ্ট অপারেটিভ রুম, ইনস্ট্রমেন্ট রুম, চিকিৎসকদের ডিউটি কক্ষ, অর্ভ্যর্থনা কক্ষ, নার্সদের ডিউটি কক্ষ, ডাক্তার কক্ষ, পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক টয়লেট সুবিধা থাকতে হবে। এছাড়া ক্লিনিক থেকে প্রদত্ত সেবা সমূহের তালিকা, যে সমস্ত অস্ত্রপাচার সম্পন্ন হয় তার তালিকা, অস্ত্রপাচার কক্ষের শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত, ওটি টেবিল, সাকার মেশিন, জরুরী ঔষধ সমূহের ট্রে, অক্সিজেন ওটি লাইট, এ্যানেসথিয়া মেশিন, ডায়াডারমি মেশিন, রানিং ওয়াটার, আইপিএস সুবিধা থাকা বাঞ্চনীয়। অথচ সেখানে এসব সুবিধার কোন বালাই নেই।

আরো পড়ুন :  আসছে পুষ্পিতা মিত্র'র নতুন গান কান্দিস না

ক্লিনিকে সার্বক্ষণিক ডাক্তারদের নাম ঠিকানা, যোগ্যতার সনদপত্র ও নিয়োগপত্র থাকতে হবে। একই শর্ত নার্স ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ক্ষেত্রেও। সূত্র জানায়, ক্লিনিকের অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রপাতি ও ঔষধপত্রের মধ্যে রয়েছে, কার্ডিয়াক ট্রে, ট্রাকিওষ্টমি সেট, ইনটুবেশন সেট, আম্বু ব্যাগ ও জরুরী মেডিসিন। এ্যাম্বুলেন্স সুবিধা সচল থাকা অতীব জরুরী।

ক্লিনিকে প্রতি বেডের আয়তন হবে ৮০ বর্গফুট। পর্যাপ্ত জীবন রক্ষাকারী ও প্রয়োজনীয় ঔষধ মজুদ, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ইত্যাদি। এসবগুলোর কোন কিছুই নেই সেখানে। সার্বক্ষণিক ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও সেখানে নেই। নেই কোন ডিপ্লোমা নার্স। প্রতিষ্ঠানটির মালিক নিজেই ডাক্তার সেজে মাঝে মাঝে অপারেশনও করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য নিতে গেলে কলারোয়া প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক এশিয়ান টিভির কলারোয়া প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম লিটনে মারপিটও করেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও সহযোগিরা।

আহত সাংবাদিক জানান, শুক্রবার এক গর্ভবতী মহিলাকে সরকারি নিয়মনীতি ও স্বাস্থ্যনীতি উপক্ষো করে সরকারি অনুমোদন বিহীন জননী নাসিং হোমে সিজার করা হয়। সিজার করার পর প্রাইভেট ডাক্তার সিরাতুন তাসকুরা বাঁধনের কাছে এ্যানেসথেসিয়া বিষয়ক কনসালটেন্ট ছিলেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি নিজেই এ্যানেসথেসিয়া করিয়েছি।

এ্যানেসথেসিয়া বিষয়ক কনসালটেন্ট ছাড়া অপারেশন করা যায় কিনা ডাক্তারের কাছে জানতে চাইলে এই সময় অবৈধ নাসিং হোমের স্বত্বাধিকারী মমতাজ আলীর ছেলে আশরাফুল আলম ও মেডিকেল সহকারী দীপংকর কুমার সমাদ্দার (ডিকে সমাদ্দার)সহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সাংবাদিককে এলোপাতাড়ি মারপিট করতে থাকে। অবিলম্বে উক্ত অবৈধ প্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

এদিকে, অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তদন্ত কমিটি প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন পূর্বক তদন্তও সম্পন্ন করেছেন বলে জানাগেছে। এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আশরাফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের ত্রুটি আছে ২০%।

তবে ৮০% সব কিছুই ঠিক আছে। এছাড়া পুরোপুরি নিময় মেনে কোন ক্লিনিক পরিচালনা করা সম্ভব না বলে তিনি দাবি করেন।কলারোয়া উপজেলা প:প: কর্মকর্তা জিয়াউল হক বলেন, প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদনসহ ক্লিনিক পরিচালনার শর্ত পূরণ না থাকায় আমি ইতোপূর্বে তাদের কার্যক্রম স্থগিত করেছিলাম।

কিন্তু কিভাবে তারা আবারো শুরু করেছে। সম্প্রতি আবারো অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্ত করেছেন। এখনো রিপোর্ট দেননি। রিপোর্ট দিলে আমি সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসে পাঠিয়ে দেবো। সিভিল সার্জন অফিস সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:০০
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:১৪
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০৫
  • ১১:৪৯
  • ৩:৩৫
  • ৫:১৪
  • ৬:৩১
  • ৬:২০