হাবিবুর রহমান মুন্না,জেলা প্রতিনিধি,কুমিল্লা ।।
আজ ৫৪তম বিশ্ব মান দিবস। পণ্য এবং সেবার মানের বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে প্রতি বছর ১৪ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী এ দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বির্নিমাণে মান’। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মান সংস্থা- ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন (আইএসও), ইন্টারন্যাশনাল ইলেক্ট্রোটেকনিক্যাল কমিশন (আইইসি) এবং ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এর প্রধানরাও বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বায়নের যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য ও সেবা উৎপাদনের বিকল্প নেই। যেকোনো পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয় তথা বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে ‘মান’ আস্থার প্রতীক হিসেবে কাজ করে।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের জন্য মানসম্মত খাদ্য ও পণ্য সরবরাহে বদ্ধপরিকর। মুক্ত বাজার অর্থনীতির যুগে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনের কোনো বিকল্প নেই। শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে পরিবেশবান্ধব ও রপ্তানিমুখী শিল্পায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি টেকসই শিল্পসমৃদ্ধ দেশে রূপান্তর করতে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) উদ্যোগে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিলো জেলা প্রশাসক খন্দকার মু:মুশফিকুর রহমান।তিনি ব্যস্ত থাকায় এর পরিবর্তে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া।মান দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে-মান’।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, উৎপাদন ও বিপণন পর্যায়ে পণ্যের গুণ, মান ও পরিমাপের নিশ্চয়তা বিধান করা অত্যন্ত জরুরি।
পণ্যের মান নিশ্চিত করতে পারলে ক্রেতারা প্রতারিত হবেন না। তিনি আরও বলেন, বিএসটিআইকে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ও প্রশিক্ষিত জনবল দ্বারা সমৃদ্ধ রাখতে হবে।
এ প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ পাওয়ার পরে যেন উৎপাদনকারী মানসম্মত পণ্য তৈরি করে সেদিকে নজরদারি করতে হবে। একইসঙ্গে ব্যবসায়ীরা যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকেও দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সরকার জনস্বার্থে ২২৯ ধরনের পণ্যকে বাধ্যতামূলকভাবে বিএসটিআই’র সার্টিফিকেশনের আওতায় এনেছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা জেলার সিভিল সার্জন ডা: নাছিমা আক্তার, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার)। এতে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা বিএসটিআই’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর কে এম হানিফ।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা, ফেনী,লাকসাম,নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপজেলা ও ইউনিয়নের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন,দোকান মালিক সমিতি, উদ্যোক্তা বৃন্দ।বক্তারা বিএসটিআইয়ের নানা দিক তুলে ধরেন এবং মানসম্মত প্রোডাক্টস প্রস্তুত করার জন্য বিএসটিআইয়ের সনদ পেতে সহযোগিতা কামনা করেন।
দৈনিক আস্থা/ মুন্না