গ্রীষ্মের প্রখর রোদের তাপমাত্রায় অতিষ্ঠ জনজীবন। শুধু বাইরে নয়, ঘরেও প্রচণ্ড গরমে শান্তি নেই।
এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারও বেড়ে গেছে। এতে সাময়িকভাবে ঠান্ডা হচ্ছেন। কিন্তু শারীরিক কিছু জটিলতা তো বেড়েই যাচ্ছে। তাই প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে ঠান্ডা রাখার বিকল্প নেই।
গ্রামের পরিবেশে প্রাকৃতিক বাতাসে ঘা ঠান্ডা করার সুযোগ থাকলেও শহুরে জীবনে তা পাওয়া কষ্টসাধ্য। তবে প্রকৃতিকে ঘরে নিয়ে এসে এমন তৃপ্তি আপনি পেতে পারেন। হ্যাঁ, ঘরের বারান্দায় বা উঠানে এমন কিছু গাছ লাগাতে পারেন, যা আপনার ঘরের তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক রাখবে। আর আপনাকে দেবে প্রশান্তি।
অ্যালোভেরা গাছ
অ্যালোভেরা গাছ হচ্ছে ঔষধি এক গাছ। নানা উপকারে আসে গাছটি। খুব সহজলভ্য এই গাছের দামও কম। যেকোনো নার্সারি থেকেই কিনতে পারবেন। ঘরের তারপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই গাছটি ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি এই গাছ ঘরে অক্সিজেনের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে।
রাবার গাছ
রাবার গাছ হতে পারে সুন্দর ইনডোর প্ল্যান্ট। ড্রইং রুমের যেকোনো কোনায় রাখলে দেখতে খুব সুন্দর লাগে। অন্যান্য ইনডোর প্লান্টগুরোর তুলনায় এই গাছ আকারে একটু বড় হয়। প্রচণ্ড গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে এই গাছ বাড়িতে রাখুন। আকারে বড় হলেও এই গাছের যত্ন নেওয়াও খুবই সহজ।
মানি প্ল্যান্ট
অনেকের ঘর সাজাতে এই গাছ ব্যবহার করেন। ঘর সাজানোর পাশাপাশি ঘরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এই গাছ। বসার ঘরে বা ডেস্কে এই গাছ ছোট করে রাখতে পারলে ঘরের সৌন্দর্যও বাড়িয়ে তুলবে। সেই সঙ্গে দেবে প্রশান্তি।
মাদার ইন ল টাঙ
ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য় অনেকেই এই গাছ ব্যবহার করেন। লম্বা লম্বা পাতার এই গাছ ঘরের যেকোনো জায়গায় সাজিয়ে রাখলেই ঘরের শোভা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। ঘর ঠান্ডা রাখতে দারুণ কাজ করে গাছটি।
এরিকা পাথ
এই গাছের দামও কিন্তু খুব কম। গাছের পাতা দেখতে একদম সুপারিগাছের মতো। এই গাছ প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ করে। এতে অনায়াসেই ঘরের তাপমাত্রা কমে। শুধু তা-ই না, খুব সহজেই যত্ন নিতে পারবেন এই গাছের।