আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সেনাবাহিনীর গুম-অপহরণ-হত্যা আর গ্রেফতার আতঙ্কে অতিষ্ঠ নাগরিকরা এবার মিয়ানমার ছাড়তে শুরু করেছেন।
অভ্যুত্থান বিরোধী আন্দোলনে নেই, অথচ বর্তমান শাসকদের মেনে নিতে পারছেন না, এমন সব রয়েছেন এই দলে। খবর বিবিসির।
শনিবার এমন খবরই দিলেন মিয়ানমারের ভারত সীমান্তবর্তী কর্মকর্তারা। তারা জানান, সেনা অভ্যুত্থানের অশান্তি এড়াতে প্রায় অর্ধশত মিয়ানমার নাগরিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েছেন। অপেক্ষায় আছেন আরও ৮৫ জনের একটি দল।
আসাম রাইফেলস প্যারামিলিটারি ফোর্সের এক কর্মকর্তা জানান ইতোমধ্যে ৮ পুলিশসহ ৪৮ জন মিয়ানমার নাগরিক ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় মিজোরাম রাজ্যে প্রবেশ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ কর্মকর্তা আরো জানান, আরো কমপক্ষে ৮৫ মিয়ানমার নাগরিক ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় আছেন।
দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়েছে, পুলিশসহ যারা ইতোমধ্যে ভারতে প্রবেশ করেছে- তারা মিয়ানমারের বর্তমান সামরিক সরকারের অধীনে কাজ করতে চান না বলেই পালিয়েছেন। আর এদেরকেই ফেরত চেয়ে ভারতের মিজোরামের চম্পাই জেলার কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে মিয়ানমারের সেনাসরকার।
চিঠিতে বলা হয়, প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে মিয়ানমারের আট পুলিশ সদস্যকে হস্তান্তর করার জন্য আপনাকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে মিয়ানমার। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ বিক্ষোভ দমনে বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে জান্তারাও।
বিক্ষোভে গুলি, গণ-গ্রেফতার, রাত নামলেই বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, ইন্টারনেট বন্ধ, নিরাপত্তার নামে নাগরিক হয়রানি- এসব কারনেই দেশত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন নাগরিকরা।