নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় এক গৃহবধূকে (১৯) তুলে নিয়ে গণধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে দুই যুবককে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। পরে দুই যুবককে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠনো হয়। শনিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে বারহাট্টা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বেড়ানোর কথা বলে ধর্ষণ, প্রেমিক গ্রেফতার
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা এলাকার কামরুল হাসান (২৪) ও সতরশ্রী এলাকার শাহ আলম (২১)। তবে সুবল দাস ও রাজু মিয়া নামে আরও দুইজনকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নেত্রকোনা সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের ওই গৃহবধূ তার স্বামীর ওপর রাগ করে গত বুধবার রাতে বাবারবাড়ি বারহাট্টার আসমা ইউনিয়নের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
এ সময় গৃহবধূর স্বামীর বন্ধু কামরুল হাসান ওই পথে ইজিবাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন গৃহবধূ তার গাড়িতে উঠে বাবার বাড়ির দিকে রওনা দেন। কিছুদূর গিয়ে ইজিবাইকটি নষ্ট হয়ে গেছে বলে কামরুল ওই নারীকে জানান। এরপর কামরুল অসৎ উদ্দেশ্যে আরও তিন বন্ধুকে মোটরসাইকেল নিয়ে ওই স্থানে আসতে বলেন।
কামরুল বন্ধুর মোটরসাইকেলে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে বারহাট্টার দশধার এলাকায় নিয়ে যান। এ সময় গৃহবধূ মোটরসাইকেল থেকে নেমে দৌড় দেন। তখন গৃহবধূকে ধরে কামরুল ও তার তিন বন্ধু ধর্ষণের চেষ্টা চালান।
এ সময় গৃহবধূর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন চলে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বৃহস্পতিবার বিকেলে চারজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে কামরুল হাসান ও শাহ আলমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
বারহাট্টা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, মামলার চার আসামির দুজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠনো হয়েছে। অন্য দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।