হিমু : ব্যালন ডি অর অনুষ্ঠান করোনার জন্য বন্ধ থাকলেও ঘোষণা করা হয়েছে গোল্ডেন বয়ের সংক্ষিপ্ত তালিকা। ২১ বছরের নীচে থাকা উদীয়মান ফুটবলারদের কে গোল্ডেন বয় অ্যাওয়ার্ড দেয় ইতালিয়ান স্পোর্টস ম্যাগাজিন টুট্টোস্পোর্ট। ২০০৩ সাল থেকে এই পুরষ্কার দেয়া শুরু করে এই ম্যাগাজিনটি।
তাদের সাথে এই পুরষ্কারে ভোটে অংশ নিতে পারে ইউরোপের আরও ১১ টি জনপ্রিয় ম্যাগাজিনগুলো। যার মধ্যে ফ্রেঞ্চ ম্যাগাজিন, মার্কা, মুন্ডো ডেপোর্তিভো, দ্য টাইমস, স্পোর্টস এক্সপ্রেস অন্যতম।
প্রতিটি ম্যাগাজিন ২০ জনের লিস্ট থেকে মাত্র ৫ জন কে ভোট দিতে পারে। প্রথম ভোটের জন্য ১০ পয়েন্ট এবং বাকি ৩ ভোটের জন্য যথাক্রমে ৭, ৫, ৩ ও ১ পয়েন্ট দেয়া হয়।
২০০৩ সালে দেয়া প্রথমবার এই পুরষ্কার জিতে নেন রাফায়েল ভ্যান ডার ভার্ট। বর্তমানে এই পুরষ্কার টি আছে পর্তুগীজ গোল্ডেন বয় জোয়াও ফেলিক্স এর কাছে। অবিশ্বাস্য হলেও এটা সত্য যে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার রোনালদো এই পুরষ্কার জিতে নি।
গোল্ডেন বয় অ্যাওয়ার্ড জেতা একমাত্র ফুটবলার মেসি যিনি ব্যালন ডি অর পুরষ্কার পেয়েছে। ২০০৫ সালে এই পুরষ্কার পায় মেসি। এই পুরষ্কারটি একজন ফুটবলার শুধু একবারই জিততে পারে।
এখন পর্যন্ত ১৭ বার দেয়া হয়েছে এই পুরষ্কারটি। যার মধ্যে ফরোয়ার্ডরা জিতেছে ৯ বার, মিডফিল্ডাররা জিতেছে ৭ বার এবং ডিফেন্ডার একবার। একমাত্র ডিফেন্ডার হিসেবে এই পুরষ্কার জিতে ম্যাথিউস ডি লিট।
ক্লাব হিসেবে এই পুরষ্কার টি সবচেয়ে বেশিবার পেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফুটবলারেরা।তারা পেয়েছে ৩ বার। ওন্য কয়েকটি ক্লাব ২ বার পেয়েছে।
দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশিবার পেয়েছে ফ্রান্সের ফুটবলারেরা, তারাও পেয়েছে ৩ বার। এছাড়া ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, পর্তুগাল থেকে পেয়েছে ২ জন করে ফুটবলার।
তালিকায় জায়গা পেয়েছে যারা তারা হলেন এর্লিং হালান্ড (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড), আনসু ফাতি (বার্সেলোনা), আলফানসো ডেভিস (বায়ার্ন মিউনিখ), বুকায়ো সাকা (আর্সেনাল), হুডসন ওডই (চেলসি), ডেয়ান কুলুসেভস্কি (জুভেন্টাস)।
ডমিনিক (সালসবার্গ), ইডুয়ার্দো (রেনেস), ফাবিও সিলভা (উলভস), ফেরান টরেস (ম্যান সিটি), জনাথন ডেভিড (লিলে), জাডন সানচো (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড) , গ্রিনউড (ম্যান ইউ), মিচেল বাক্কের (পিএসজি), ফিল ফোডেন (ম্যান সিটি), গ্রাভেনবার্খ (আয়াক্স), রদিগ্রো (রিয়াল মাদ্রিদ), ভিনিসিয়াস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), সান্দ্রো টোনালি (এসি মিলান), সের্জিনো ডেস্ট (বার্সেলোনা)।