চাঁদা না দেওয়ায় কবজি কেটে দিলো বিএনপি কর্মী
স্টাফ রিপোর্টারঃ
নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলায় চাঁদা না পেয়ে মোঃ নবীর উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ীর হাতের কবজি কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপি কর্মীর বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৮ মে) রাত ১১টার দিকে উপজেলার হরণী ইউনিয়নের হাতিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নবী উদ্দিন হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রসূলপুর গ্রামের নবীর মিস্ত্রি বাড়ির মৃত হোসেন এর ছেলে। তিনি বর্তমানে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতালে) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযুক্ত ফারুক খলিফা (৪৫) একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম রসূলপুর গ্রামের মোঃ জাবের খলিফার ছেলে। তিনি বিএনপির কর্মী বলে জানা গেছে।
হামলার শিকার নবীর উদ্দিনের ছেলে মোঃ আবু ছায়েদ বলেন, হাতিয়া বাজারে প্রতিবছর কোরবানি হাট বসে। স্থানীয়রা নিজেদের জায়গা বা দোকানের সামনে খুঁটিতে গরু বিক্রির ব্যবস্থা করে। আমার বাবা হাতিয়া বাজারের পশুর হাটে দক্ষিণ পাশে আমাদের দোকানের সামনে বাঁশ পুঁতে গরু বিক্রির ব্যবস্থা করেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই জায়গায় এসে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বলে চাঁদা দাবি করেন ফারুক খলিফা। আমার বাবা তাকে বলেন, এখানে কি তোমার কোনো পুঁজি আছে, তোমাকে কেন টাকা দিবো। তখন তিনি আমার বাবাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে হাতিয়া বাজারের হাতিয়া টাওয়ারের সামনে ফারুক ফের টাকা চায়। আমার বাবা অস্বীকৃতি জানালে সে তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে ছুরি দিয়ে আমার বাবার ডান হাতের কবজি কেটে দেয়। এতে হাতের প্রায় সবগুলো রগ কেটে বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো হয়ে গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফারুক খলিফার মুঠোফোনে কল করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য সংযুক্ত করা যায়নি।
হাতিয়া বাজার হাটের ইজারাদার আমিরুল ইসলাম মতিন গণমাধ্যমকে বলেন, ফারুক ইজারাদার পক্ষের লোক নয়। তাকে কোনো টাকা তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। সে বিএনপির রাজনীতি করে এটা সত্য। আমার সামনেও টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। আমি বাসায় আসার ৩০ মিনিট পর এ ঘটনা ঘটে।
হরণী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান দোলন বলেন, ফারুক খলিফা বিএনপি করে, কিন্তু সে কোনো পদে নেই। এখানে ইজারাদারের ভুল আছে। আমরা কোনো অপরাধীকে ছাড় দেব না, কারো পক্ষ নেব না, যে অন্যায় করেছে সে আইন অনুযায়ী শাস্তি পাবে এটাই আমরা চাই।
হাতিয়া থানার ওসি এ কে এম আজমল হুদা বলেন, বিষয়টি শুনেছি তবে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।