ঢাকা ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo কিশোরগঞ্জে হাতপাখা প্রতীকের সমর্থনে বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা Logo খাগড়াছড়িতে রোকেয়া দিবসে “অদম্য নারী সম্মাননা” পেলো ৩ নারী Logo নাইক্ষ্যংছড়িতে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ Logo কিশোরগঞ্জে-১ আসনে কাস্তে প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হকের সমর্থনে গণমিছিল  Logo পানছড়িতে পিসিসিপি’র শীতবস্ত্র বিতরণ Logo পানছড়িতে জামায়াত প্রার্থীর গনসংযোগ ও মতবিনিময় Logo পানছড়িতে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় চোরাই পণ্য আটক Logo চাঁদা না দেওয়ায় বাড়ি নির্মাণে বাধা, ভূমি দখলচেষ্টা ও হত্যার হুমকির Logo ইকরা গার্মেন্টসের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo আবার মাইনাস তৎপরতায় ডিপ স্টেট: মাসুদ কামাল

জরুরি সভায় নর্থ সাউথের উপাচার্য

News Editor
  • আপডেট সময় : ০২:৩৮:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৮৪ বার পড়া হয়েছে

আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে আন্দোলনকারীদের দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার শিক্ষার্থীদের মোবাইলে এসএমএস করে এ প্রস্তাব পাঠানো হলেও তাতে সন্তুষ্ট নন আন্দোলনকারীরা। দাবি বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট আশ্বাস ছাড়া আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এই কারণে শিক্ষকদের নিয়ে জরুরি সভায় বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

ছয় দফা দাবি আদায়ে গত দুদিন ধরে আন্দোলনে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরে দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে মোবাইল এসএমএস-এর মাধ্যমে একটি খুদেবার্তা পাঠানো হয়।

তাতে উল্লেখ করা হয়, তোমরা আন্দোলন ছেড়ে বাড়ি ফিরে যাও। আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে তোমাদের দাবি বাস্তবায়ন করা হবে। তবে কর্তৃপক্ষের এই আশ্বাসে সন্তুষ্ট না হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন আশ্বাসে আমরা আন্দোলন থেকে ফিরব না। আগামী ২২ অক্টোবর থেকে আমাদের সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তাই তখন আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না করলেও আন্দোলনে নামা সম্ভব হবে না। সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা ছাড়া আন্দোলন ছেড়ে বাড়ি ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার দুপুর থেকে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের এক নম্বর গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- ২০ শতাংশ টিউশন ফি ছাড়, কোটা এবং ফলাফলের ওপরপ্রাপ্ত ওয়েভারের সঙ্গে অতিরিক্ত ২০ শতাংশ যুক্ত, অর্থনৈতিক সমস্যাগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের শতভাগ ওয়েভার প্রদান, সেমিস্টার ফির সঙ্গে অতিরিক্ত অর্থ আদায় না করা, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধের দাবিতে গতকাল থেকে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।

গতকাল রোববার টিউশন ফি মওকুফ ও বাড়তি ফি আদায় বন্ধের দাবিতে সারাদিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে আন্দোলন করেন। দাবি আদায়ের এক পর্যায়ে বিকেলে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন তারা। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে তিনদিন সময় চাই।

জরুরি সভায় নর্থ সাউথের উপাচার্য

আপডেট সময় : ০২:৩৮:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অক্টোবর ২০২০

আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে আন্দোলনকারীদের দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার শিক্ষার্থীদের মোবাইলে এসএমএস করে এ প্রস্তাব পাঠানো হলেও তাতে সন্তুষ্ট নন আন্দোলনকারীরা। দাবি বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট আশ্বাস ছাড়া আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এই কারণে শিক্ষকদের নিয়ে জরুরি সভায় বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

ছয় দফা দাবি আদায়ে গত দুদিন ধরে আন্দোলনে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরে দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে মোবাইল এসএমএস-এর মাধ্যমে একটি খুদেবার্তা পাঠানো হয়।

তাতে উল্লেখ করা হয়, তোমরা আন্দোলন ছেড়ে বাড়ি ফিরে যাও। আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে তোমাদের দাবি বাস্তবায়ন করা হবে। তবে কর্তৃপক্ষের এই আশ্বাসে সন্তুষ্ট না হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন আশ্বাসে আমরা আন্দোলন থেকে ফিরব না। আগামী ২২ অক্টোবর থেকে আমাদের সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তাই তখন আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না করলেও আন্দোলনে নামা সম্ভব হবে না। সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা ছাড়া আন্দোলন ছেড়ে বাড়ি ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার দুপুর থেকে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের এক নম্বর গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- ২০ শতাংশ টিউশন ফি ছাড়, কোটা এবং ফলাফলের ওপরপ্রাপ্ত ওয়েভারের সঙ্গে অতিরিক্ত ২০ শতাংশ যুক্ত, অর্থনৈতিক সমস্যাগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের শতভাগ ওয়েভার প্রদান, সেমিস্টার ফির সঙ্গে অতিরিক্ত অর্থ আদায় না করা, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধের দাবিতে গতকাল থেকে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।

গতকাল রোববার টিউশন ফি মওকুফ ও বাড়তি ফি আদায় বন্ধের দাবিতে সারাদিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে আন্দোলন করেন। দাবি আদায়ের এক পর্যায়ে বিকেলে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন তারা। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে তিনদিন সময় চাই।