সোমবার দুপুরে শহরের মিঠাপুকুরপাড়ে এ নিবন্ধন কার্যক্রম উদ্বোধন করে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম বলেন, “আপনারা (জেলাবাসী) যদি এই কার্যক্রমে যুক্ত না হন, তাহলে সামনে কঠোর পদক্ষেপ নেব।”
তিনি বলেন, যে কোন নাগরিক সুবিধা নিতে এখন যেমন ভোটার আইডি কার্ড দরকার হয়, তেমনি ভবিষ্যতে নাগরিক সুবিধা পেতে টিকার স্লিপ দেখাতে বলব। ‘টিকা না নিলে সব ধরনের নাগরিক সুবিধা আপনার জন্য বন্ধ থাকবে’।
এ হুঁশিয়ারি দিয়ে আগামী ৭ অগাস্টের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা গ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।
বাগেরহাটের ৭৫টি ইউনিয়নের এবং পৌরসভায় ৭ অগাস্ট থেকে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের টিকা কেন্দ্রে এসে ১৮ বছরের বেশি বয়সী মানুষ এ টিকা গ্রহণ করতে পারবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন।
বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোছাব্বেরুল ইসলাম জানান, বাগেরহাট পৌরসভার সব ওয়ার্ড, ইউনিয়ন পরিষদের পাশাপাশি ৬০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক যোগে বিনামূল্যে টিকার নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে। এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ কার্যক্রম শুরু করেছে।
সমাজের অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে পড়া যারা করোনার ভ্যাকসিন সম্পর্কে ততটা সচেতন না তাদের জন্য ‘আমাদের একটা স্পেশাল ড্রাইভ, প্রত্যেকটা বস্তিতে গিয়ে তাদের নিবন্ধনের আওতায় আনা।’
বিনামূল্যে নিবন্ধনের কাজে যুক্ত হওয়া বাগেরহাট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আহাদ উদ্দিন হায়দার বলেন, মহামারী থেকে বের হতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল টিকা। এজন্য সরকার চাইছে বেশি পরিমাণ ভ্যাকসিন যত অল্প সময়ে দেওয়া যায়।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন কবির জানান, বাগেরহাটে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনা টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এ জেলার ৯২ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৪২ হাজার মানুষ টিকার দুইটি ডোজ পেয়েছেন।