মহামারি করোনা ভাইরাসের আগ্রাসনে গ্যালারিতে বসে খেলা উপভোগ করতে পারছেন না দর্শকরা। তাই টিভি সেটই ভরসা। তবে এটিকে পুঁজি করেই এবার বড় অংক কামিয়ে নেয়ার সুযোগ খুঁজছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ কর্তারা।
টিভিতে খেলা দেখতে হলেও দর্শকদেরকে দিতে হবে অর্থ! এমনই একটি নিয়ম করেছে তারা। আর এর প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সাবেক ফুটবলারসহ ইংলিশ সমর্থকরা।
প্রতিবাদের কারণও অবশ্য আছে। অংকটাও একেবারে কম নয়। টিভিসেটের সামনে বসতে হলে প্রতি ম্যাচের জন্য একজন দর্শককে পরিশোধ করতে হবে ১৪.৯৫ পাউন্ড। অর্থাৎ বাংলাদেশি অংকে ১৫০০ টাকার বেশি পরিশোধ করতে হবে এক-একটি ম্যাচ দেখার জন্য!
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচগুলো সম্প্রচার করছে স্কাই স্পোর্টস এবং বিটি স্পোর্টস। আগামী ৩ সপ্তাহের বেশিদিনের ম্যাচগুলো পে-পার-ভিউ পদ্ধতিতে সম্প্রচার করবে তারা। অর্থ্যাৎ, ম্যাচ দেখার জন্য আগে টাকা পরিশোধ করতে হবে দর্শকদেরকে।
এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে ক্লাবগুলোর কাছ থেকে পক্ষে-বিপক্ষে ভোট চায় কর্তৃপক্ষ। যেখানে লেস্টার সিটি ছাড়া বাকি সব ক্লাবই পে-পার-ভিউ পদ্ধতির পক্ষে ভোট দিয়েছে। দর্শকদের পক্ষ নিয়েছে কেবল ইপিএলের ১বারের চ্যাম্পিয়ন লেস্টার।
তবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক কিংবদন্তি এবং বর্তমানে ধারাভাষ্যকার গ্যারি নেভিল এমন সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তিনি টুইট করেছেন, ৬ মাস বিনামুল্যে সম্প্রচারের পর এখন চার্জ ধার্য করা ইপিএল কর্তৃপক্ষের বেশ বাজে সিদ্ধান্ত।
সাবেক প্রিমিয়ার লিগজয়ী তারকা ক্রিস সাটনও এর প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেছেন, আমরা মহামারীর সময়ে আছি। জনগণ চাকরি হারাচ্ছে। ট্র্যান্সফারের সময়ে আমরা দেখেছি ক্লাবগুলো দেদারসে টাকা খরচ করেছে। ফুটবল সমর্থকদের প্রতি এটা অন্যায়। প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ খুবই বাজে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গেল ৭ মাস ধরেই চলছে মাঠে দর্শকের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা। ফুটবল সাপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এরইমধ্যে জানিয়েছে, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত টাকার অংকটা যেন আবারো বিবেচনা করা হয়।
সংস্থাটির একজন মুখপাত্র বলেছেন, আমরা বিটি স্পোর্টস এবং স্কাই স্পোর্টসকে আহ্বান জানাবো তারা যেন ম্যাচপ্রতি দামের বিষয়টি আবারো বিবেচনা করেন। অনেকগুলো ক্লাবই এরমধ্যে দর্শকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে। বিশেষ করে টিকেটদাতারা, যেগুলোতে দর্শকরা মাঠে যেতে পারেনি। আমাদের আহ্বান থাকবে, ওই ম্যাচগুলোর টাকা যেন ক্ষতিগ্রস্থ সমর্থকদেরকে ফেরত দেয়া হয়।