সাইবার নিরাপত্তা এবং ডিজিটাল ইকোনমি সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া ।
মঙ্গলবার ঢাকাস্থ দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাংকেউন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে এক বৈঠককালে এ প্রতিশ্রুতি দেন।
লি জাংকেউন আরও বলেন, তথ্য প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে সব ধরণের সহযোগিতা ও ডিজিটাল মিউনিসিপালিটি সার্ভিস, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোরিয়া বাংলাদেশকে সাহায্য করবে।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক কালিয়াকৈর এ ডিজিটাল নিরাপত্তা এজিন্সি’র ভবন নির্মাণ, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অপারেশন সেন্টার, ন্যাশনাল ডিজিটাল ফরেন্সিক ল্যাব, ইমারজেন্সি রেসপন্স প্ল্যাটফরম, ন্যাশনাল সার্ট এবং সাইবার সিকিউরিটি ট্রেনিং সিমুলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠাকরণের বিষয়ে লি জাংকেউনকে অবহিত করেন।
এছাড়াও প্রতিমন্ত্রী তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ডিজিটাল সেবা পৌছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচি, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন ২৮টি হাই-টেক পার্ক প্রতিষ্ঠা, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট ফ্রন্টইয়ার টেকনোলজি, স্কুল অব ফিউচার, আইসিটি সেক্টরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন সুবিধা প্রদান, স্টার্টআপ প্রকল্পসহ আইসিটি সেক্টরের চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতের কাছে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
বৈঠকে তারা দুই দেশের পারস্পরিক উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়াকে অনুসরণ করে করোনা মহামারির পরবর্তী সময়ে কিভাবে উপকৃত হওয়া যায় সে বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করা করেন।
এসময় রাষ্ট্রদূত জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অল্প সময়ে বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতসহ বিভিন্ন খাতের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। যার প্রতিফলন বাংলাদেশের নাগরিক সহ বর্হিবিশ্ব দেখতে পাচ্ছে।
তিনি আরো জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে দক্ষিণ কোরিয়া সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে বলেন, দুই দেশ যৌথভাবে কাজ করলে ব্যাপকভাবে লাভবান হবে।
এ বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি’র মহাপরিচালক মো. রেজাউল করিম, বাংলাদেশে নিযুক্তি দক্ষিণ কোরিয়ার উপ-রাষ্ট্রদূত কিম চেওল সং, বাংলাদেশে নিযুক্ত ‘কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা)’র কান্ট্রি ডিরেক্টর হিয়ন জিন জু সহ আরো অনেকে।