আস্থা প্রতিবেদনঃ ফেসবুকে ডিবেট শো-তে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘জঙ্গি’ বলে বক্তব্য দেওয়ায় ইসলামী বক্তা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক সাইফুল রহমানকেও আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে শাহবাগ থানায় এ মামলাটি করেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।
শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামলায় ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীকে এক নম্বর আসামি করা হয়। অন্যদিকে সাইফুল রহমানকে করা হয়েছে দুই নম্বর আসামি।
ওসি মওদুত হাওলাদার বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের কটাক্ষ করার অপরাধের একটি অভিযোগ থানায় এসেছে ডিজিটাল নিরাপাত্তা আইনে মামলা নেওয়ার জন্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে মতামতের জন্য পাঠানো হয়েছে।সেখান থেকে মতামত আসার পর মামলা নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।’
মামলার এজহারে বলা হয়েছে, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সন্তানদের জঙ্গির সঙ্গে তুলনা করে ধৃষ্টতা দেখিয়ে এনায়েতুল্লাহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রোপাগান্ডা ও প্রচারণা চালিয়েছেন। বীর মুক্তযোদ্ধাদের ও তাদের অবদানকে অপমান ও অপদস্ত করেছেন। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮- এর ২১/২৮/২৯/৩৫ ধারায় দণ্ডনীয় অপরাধ।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মে ফেসবুকের একটি টকশোতে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন প্রকাশিত ২ খণ্ডের শ্বেতপত্র নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল ‘১১৬ জন আলেম নিয়ে অভিযোগ বিশ্লেষণ’। টকশোতে হাজির ছিলেন এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী। তিনি ছাড়াও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের বিশিষ্ট আইনজী এ্যাড. মিজানুল ইসলাম, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, বিশিষ্ট আইনজীবী ও সদস্য সচিব (গণ কমিশন) ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদার।
ভার্চুয়াল সংযোগের মাধ্যমে টকশোটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এক পর্যায়ে জঙ্গি শব্দটা ‘জাং’থেকে এসেছে জানিয়ে শাব্দিক অর্থে মুক্তিযোদ্ধারাও এক অর্থে জঙ্গি বলে মন্তব্য করেন এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী।