হুমায়ুন কবির, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সন্তানসহ মা বাবাকে হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দিয়েছে প্রধান আসামী নিহতের ছোট ভাই দ্বীন ইসলাম। অন্য আসামীদের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
শনিবার কিশোরগঞ্জের ৫ নম্বর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুন নূর তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জবানবন্দিতে জানা যায়, আসামি দীন ইসলাম জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শাবল দিয়ে পিটিয়ে বড় ভাই আসাদুজ্জান খান, ভাবি পারভীন আক্তার ও ভাতিজা লিয়নকে হত্যা করে মরদেহ গুমের কথা স্বীকার করে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। তার মা, বোন ও ভাগনেসহ আত্মীয়স্বজন হত্যাকাণ্ডে সহায়তা করেন বলেও জানান তিনি।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, আসাদের ছোট ভাই দীন ইসলাম অন্য আত্মীয়দের সহায়তায় একাই শাবল দিয়ে পিটিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় অন্য কারা জড়িত তা বের করতে তিন অভিযুক্তকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে দীন ইসলামসহ মামলার অপর তিন অভিযুক্ত তার মা কেওয়া খাতুন, বোন নাজমা বেগম ও ভাগনে আল-আমিনকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কটিয়াদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম।
গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নিখোঁজের পর রাতে কটিয়াদি উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের জামষাইট গ্রামের আসাদ-পারভীন দম্পতি ও তাদের ১২ বছরের ছেলে লিয়নের মৃতদেহ বসত ঘরের পাশে মাটিচাপা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে নিহতের বড় ছেলে তোফাজ্জল বাদী হয়ে নিহতের মা, ভাই, বোন, ভাগ্নেসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে শুক্রবার কটিয়াদি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করে শনিবার আদালতে প্রেরন করে পুলিশ। এদের মধ্যে নিহতের ভাই দ্বীন ইসলাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
অপর ৩ আসামী নিহতের মা কেওয়া খাতুন, বোন নাজমা ও ভাগ্নে আল আমিনের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ। রোববার রিমান্ড আবেদনের শুনানির কথা রয়েছে।