দেড় কোটি মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, প্রথম লটে ৩ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ দেশে আনা হবে। এই ৩ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ দুইবার করে প্রতি ব্যক্তিকে দেওয়া হবে। এর ফলে প্রথমে দেড় কোটি মানুষকে দেড় কোটি ভ্যাকসিন প্রতিমাসে ৫০ লাখ করে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে একই পরিমাণ ভ্যাকসিন একইভাবে ২৮ দিন পর পুনরায় ২য় ডোজ হিসেবে দেওয়া হবে।
আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক এর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার, দেশের বেসরকারি কম্পানি বেক্সিমকো ফার্মা ও ভারতের কম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউট এর মধ্যে অক্সফোর্ড আস্ট্রজেনেকা করোনা ভ্যাকসিন আমদানী সংক্রান্ত এই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সাথে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূরসহ অন্যান্য ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সরকারের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মোস্তফা কামাল।
সংসদ ভবন এলাকায় মিছিল-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা ভ্যাকসিন আমদানী প্রসঙ্গে দেশের মানুষ অনেকদিন থেকেই অপেক্ষা করছে। আজ এই চুক্তির ফলে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটছে। এক্ষেত্রে দেশের বেক্সিমকো ফার্মা বড় ভূমিকা রেখেছে। বেক্সিমকো ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে সরকারের সেতু বন্ধন তৈরি করে দিয়েছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মার কাছে ভ্যাকসিন দিলে বেক্সিমকো ফার্মা সরকারের কাছে তা হস্তান্তর করবে।দেড় কোটি মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, করোনাভাইরাসের ক্ষত দ্রুত কাটিয়ে উঠতে আসেমভুক্ত দেশগুলো ‘নিজে বাঁচো, অন্যকে বাঁচাও’ নীতি গ্রহণ করেছে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে সেতুবন্ধনকারী সংস্থা এশিয়া-ইউরোপ মিটিং (আসেম)। করোনার মধ্যেও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভালো। সংস্থাটির ১৪তম ফাইন্যান্স মিনিস্টার্স সম্মেলন শেষে শুক্রবার তিনি এ কথা জানান। ভার্চুয়াল এ সভার আয়োজক বাংলাদেশ। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এতে সভাপতিত্ব করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শেষে বাংলাদেশ সরকার, বেক্সিমকো ফার্মা ও সিরাম ইনস্টিটিউট এর মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেক্সিমকো ফার্মার পক্ষে বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন, এমপি ও সিরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষে সন্দীপ মুলে উপস্থিতি ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ভারত সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী উপস্থিত ছিলেন।