বর্তমানে খবরের কাগজ খুল্লেই চোখে পড়ে ধর্ষণের খবর। প্রায় প্রতিদিনই খবরের শিরোনামে আসছে বিভিন্ন ধর্ষণের ঘটনা। পৃথিবীর কোনো না কোনো প্রান্তে ধর্ষিত হচ্ছে কোনো না কোনো নারী। কোনো মেয়েই যে এই ধর্ষকদের হাত থেকে সুরক্ষিত নয় সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো তা প্রমাণ করছে বার বার। প্রতিনিয়ত এমন ধর্ষণের সব খবর ভাবিয়ে তুলছে বিশ্ববাসীকে। প্রতিনয়ত মনের মধ্যে যেনো অস্থিরতা এসে ভর করছে কন্যা সন্তানের বাবা মাদের। আদৌ কি তাদের সন্তানটি নিরাপদ? এর থেকে বাঁচার উপায় কী?
এমনই এক চিন্তা চিন্তা থেকে ধর্ষণ সহ যে কোনো রকমের অশালীন আচরণ রুখে দিতে পারবে এমনই এক জোড়া জুতো আবিষ্কার করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেন ভারতের এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া মেধাবী ছাত্র মোশারফ৷ এমনই এক জোড়া জুতো বানিয়ে ফেলেছ সে যা কিনা ধর্ষণ বিরোধী!
মডার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মোশারফ প্রায় দুই বছর লাগিয়ে এই জুতো আবিষ্কার করেছেন। এ জুতোয় রয়েছে এমন সব প্রযুক্তি যা বিপদের সময় পরিবার কিংবা পুলিশের কাছে সংকেত পাঠাতে পারবে দ্রুত সময়ের মধ্যে।
তিনি জানান, এই জুতো যেকোনো বাজে সময় মেয়েদের আর্তনাদ পৌঁছে দিতে পারবে তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব বা নিকটস্থ পুলিশের কাছে।
য্ব কোনো পাঁচটি জরুরি ফোন নম্বর যোগ করার সুবিধা রয়েছে এই জুতোয়। এছাড়াও দুষ্কৃতীরা শারিরীক বল প্রয়োগ করতে চেষ্টা করলে বারোশো ভোল্টের ইলেকট্রিক শক খাবে এই জুতো থেলে।
মোশারফ আরো জানায়, ব্যাটারিসহ জিপিএস, জিএসএম, আরডুইনো, আরএফ ট্রান্সমিটার ও রিসিভারযুক্ত সেফটি ডিভাইস বসানো হয়েছে এই জুতো জোড়ার মধ্যে।
কোনও নারীকে অপহরণ করা হলে অপহরণের এলাকাকে খুব সহজেই চিহ্নিত করতে পারবে পুলিশ এই জুতোজোড়া কোনো নারী ব্যবহার করলে।
এছাড়াও প্রতি আধা সেকেন্ড অন্তর এসওএস কল যেতে থাকবে জুতোয় যোগ হওয়া পাঁচটি ইমার্জেন্সি ফোন নম্বরে।
মোশারফের অভিনব এই জুতোর দাম পড়বে মাত্র মাত্র ৮০০ টাকা!
মোশারফ জানায়, সে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সাথে এই জুতো জোড়া নিয়ে দেখা করতে চান। তিনি চান দেশের প্রতিটি মেয়েকে ‘’পথের সাথী’’ নাম দিয়ে এই জুতো বিলি করা হোক সরকারের তরফ থেকে যেনো আর কোনো নারীই ধর্ষণের শিকাড় না হয়। ধর্ষণমুক্ত সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এই জুতো অনেকটাই সফল হবে বলে আশা তার।