আমির হোসেন, ঝালকাঠিঃ “নিজের হাত নিজের সুরক্ষা” বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঝালকাঠীর নলছিটিতে ৩০ ও ৩১ শে আগস্ট সোমবার ও মঙ্গলবার শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন করা হয়।
করোনার কারণে এ বছরও জন্মাষ্টমী উপলক্ষে কোন শোভাযাত্রা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তাই শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লোকসমাগম স্থগিত করা হয়েছে। নলছিটির শ্রীশ্রী মদনমোহন জিউ মন্দিরে সামাজিক দূরত্ব মেনেই পূজোর সব কাজ সম্পূর্ন করা হয়।
শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি জনারধন দাস, তাঁরা মন্দিরের পুরোহিত গৌরাঙ্গ মুখার্জী, কৃষ্ণলাল চক্রবর্তী, অশোক পালিত, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নলছিটি শাখার সভাপতি প্রান্তিক দাস পুটু, সাধারন সম্পাদক শুভাশীষ দত্ত প্রদ্যুৎ, পূজা উদযাপন সভাপতি সম্পুদাস, রিপন দাস, খোকন দাস, দেবাশীষ দাসসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের ভক্তবৃন্দরা।
৩০ আগস্ট সোমবার পূজোশেষে মঙ্গলবার দুপুরে মহা প্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে অনারম্বর পরিবেশেই শ্রীকৃষ্ণের ৫ হাজার ২ শত ৩৮ তম জন্মাষ্টমী উৎসব শেষ হয়। সনাতন ধর্মের প্রবক্তা ও প্রাণপুরুষ মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ও শুভ জন্মাষ্টমী।
দ্বাপর যুগের শেষ দিকে এই মহাপূন্য তিথিতে মথুরা নগরীতে অত্যাচারী রাজা কংসের কারাগারে বন্দী দেবকী ও বাসুদেবের বেদনাহত ক্রোড়ে জন্ম নিয়েছিলেন পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। সনাতন ধর্মানুসারে, পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অত্যাচারীর বিরুদ্ধে দুর্বলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দুষ্টের দমন ও শ্রিষ্টের লালন করতে এ পৃথিবীতে আবিভূত হয়েছিলেন।