ঝালকাঠির নলছিটিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে। এখন প্রতিটি মন্দিরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রতিমাশিল্পীরা।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। বিধিমতো উদযাপনের লক্ষ্যে মন্দির কমিটিগুলো প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে পূজা অনুষ্ঠান করতে সব মন্দির কমিটির সাথে ইতোমধ্যে সভা করেছে।
আগামী ২১ শে অক্টোবর শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। প্রাণঘাতী করোনা মহামারীর কারণে এ বছর অনাড়ম্বর পরিবেশে দুর্গা পূজা উদযাপন হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ।
মৃৎ শিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় প্রতিমাগুলো ধীরে ধীরে দেবী রূপ ধারণ করছে। উপজেলার ২১টি পূজামণ্ডপে ব্যস্ত প্রতিমাশিল্পীরা জানিয়েছেন এবার প্রয়োজনীয় উপকরণের মূল্য বাড়লেও বাড়েনি তাদের মজুরি।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নলছিটি উপজেলা শাখার সভাপতি জনারধন দাস বলেন, এ বছর করোনা রোগ মুক্তির প্রার্থনা জানিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারদীয় উৎসব অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নলছিটি শাখার সভাপতি প্রান্তিক দাস পুটু বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলকে মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্বে থেকে মন্দিরে প্রতিমা দর্শনে অনুরোধ জানিয়েছেন।
নলছিটি থানা ওসি(তদন্ত) আব্দুল হামিল তালুকদার বলেন, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূজা আয়োজনে সরকারি নির্দেশনাগুলো মেনে চলার ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকব। দর্শকরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সেজন্য সবার কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত বছর উপজেলায় ২৪ টি মণ্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হলেও এ বছর ২১ টি পূজামণ্ডপে উৎযাপিত হবে সার্বজনীন শারদীয় দুর্গা পূজা। ২১শে অক্টোবর মাহ পঞ্চমী’র মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে ২৬ অক্টোবর মহা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে শারদীয় দুর্গা পূজা।