ঢাকা ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল Logo গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ জাতিসংঘ আদালতের Logo মাটিরাঙ্গায় গনধর্ষণের শিকার কিশোরী: আটক-২ Logo শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় পাহাড়ে কাজ করছে বিজিবি Logo ন্যায্য দাবি আদায়ে দীঘিনালায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি Logo শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা হবে মোট ১৫ শতাংশ, দুই ধাপে দেওয়া হবে Logo দশমিনায় জেলেদের জিম্মি করে ছাত্রদল নেতার চাঁদাবাজি Logo বেনাপোলে কোটি টাকার বকেয়া আদায়ের দাবিতে আমদানিকারকের সংবাদ সম্মেলন Logo মানবতার আলোর পথে: লালন দর্শনের নতুন পাঠ Logo পরিমাপের ক্ষেত্রে মানসম্মত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম : ড. ইউনূস

নিরাপদে আছে আফগান নারীরা

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৮:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১০৪৫ বার পড়া হয়েছে

নিরাপদে আছে আফগান নারীরা

আস্থা ডেস্কঃ

আফগানিস্তানে তালেবানের প্রথম শাসনামলে নারীরা যেমন নিরাপদ ছিলো। তেমনি ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান যখন দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা দখলে নেয়, তখন দেশটি নারীরা নিরাপদ।

তালেবানের তিন বছরের শাসনামলে দেশটির নারীরা নিজেরকে গুছিয়ে নিয়ে ইসলামের পরিপূর্ণ ছায়া তলে প্রবেশ করেছে।

২০২১ সালের ১৫ আগস্ট ক্ষমতা দখলের পর ১৪ লাখ আফগান মেয়ে শুধু প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের করবে। সব ধরনের সরকারি চাকরি বাদ দিয়ে হয়েছে ঘর মুখো।

অপর পাপ-পূণ্য’ বিষয়ক আইনের অধীনে
নারী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বাতিল, নারীদের পড়াশোনা, চলাফেরা, পোশাক, খেলাধুলা, পার্কে যাওয়া, সংবাদ উপস্থাপনের মতো বিষয়ে এক আদেশ জারি করা হয়েছে দেশটিতে।

নতুন আদেশে ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় মুখমণ্ডলসহ নারীদের সারা শরীর কাপড়ে ঢেকে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমন করে ঢাকতে হবে, যাতে কোনো নারী বা মেয়েকে দেখে কোনো পুরুষ ‘প্রলুব্ধ’ না হয়। নারীর কণ্ঠস্বরকে গোপন রাখতে বলা হয়েছে।

আইনে বলা হয়েছে, ‘প্রাপ্তবয়স্ক কোনো নারী যখন প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যাবে, তাকে অবশ্যই তার কণ্ঠস্বর, মুখমণ্ডল ও শরীর গোপন রাখতে হবে।’ ফলে জনসম্মুখে জোরে কথা বলা কিংবা গান গাওয়ার মতো কাজ আফগান নারীরা করতে পারবেন না।

নতুন আইন অনুযায়ী, স্বামী বা রক্তের সম্পর্কের (পিতা-ভাই) নয়–এমন কোনো পুরুষের দিকে সরাসরি তাকাতে পারবে না নারীরা। পুরুষ সঙ্গী নেই এমন কোনো নারীকে গাড়িতে তুললে চালককে শাস্তি পেতে হবে। আর যেসব নারী এসব আইন পালনে ব্যর্থ হবে, তাদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

নতুন আইনটি আফগান সমাজকে আরো সুন্দর ও সুশৃঙ্খল করেছে।

তালেবান সরকারের উপমুখপাত্র হামদুল্লাহ ফিতরাত বলেন, ইসলামি শরিয়া আইনের আলোকে এই আইনটি সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা (হায়বাতুল্লাহ আকুন্দজাদা) অনুমোদন করেছেন। যেকোনো ইসলামিক বিশেষজ্ঞ তা খতিয়ে দেখতে পারেন।

নারীদের ওপর বিধিনিষেধ নিয়ে তালেবান সরকারের এটিই প্রথম আদেশ ছিল না। তিন বছর আগে ক্ষমতা গ্রহণ করেই নারীদের চলাফেরা নিয়ে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছিল শাসকগোষ্ঠীটি। এরপর কাবুল থেকে শুরু করে দেশটির অন্য শহরগুলোর রাস্তায়, বাজারে নারীর উপস্থিতি কমতে থাকে। এখন তা শূন্যের কোঠায় এসে ঠেকেছে।

এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে চাপে থাকলেও খুব একটা পাত্তা দিচ্ছে না তালেবান সরকার।

রাজধানী কাবুলের মতো শহরগুলোতে রাস্তায় অল্পসংখ্যক নারীদের দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু তাঁদের প্রায় সবাই কালো অথবা গাঢ় নীল রঙের মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢাকা ঢিলেঢালা বোরকার মতো পোশাক পরে থাকেন। অধিকাংশের পুরো মুখমণ্ডল ঢাকা থাকে, শুধু চোখ দেখা যায়।

গত ১১ অক্টোবর/২০২১ সালের সোমবার
সাভারে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগ’ আয়োজিত ‘ইঙ্গ-মার্কিন প্রচারণা এবং আফগানিস্তান প্রশ্নে তালেবান’ শীর্ষক সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি নিজেই আমেরিকার ওয়াশিংটনে ছিলাম, সেখানে মেয়েরা যতটা না নিরাপদ, আফগানিস্তানে বর্তমানের মেয়েরা তার চেয়ে বেশি নিরাপদ।

অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানুর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাহমান চৌধুরী। আলোচনায় আরও অংশ নেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন ও ড. তাসাদ্দেক আহমেদ।

 

ট্যাগস :

নিরাপদে আছে আফগান নারীরা

আপডেট সময় : ০৮:৫৮:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

নিরাপদে আছে আফগান নারীরা

আস্থা ডেস্কঃ

আফগানিস্তানে তালেবানের প্রথম শাসনামলে নারীরা যেমন নিরাপদ ছিলো। তেমনি ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান যখন দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা দখলে নেয়, তখন দেশটি নারীরা নিরাপদ।

তালেবানের তিন বছরের শাসনামলে দেশটির নারীরা নিজেরকে গুছিয়ে নিয়ে ইসলামের পরিপূর্ণ ছায়া তলে প্রবেশ করেছে।

২০২১ সালের ১৫ আগস্ট ক্ষমতা দখলের পর ১৪ লাখ আফগান মেয়ে শুধু প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের করবে। সব ধরনের সরকারি চাকরি বাদ দিয়ে হয়েছে ঘর মুখো।

অপর পাপ-পূণ্য’ বিষয়ক আইনের অধীনে
নারী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বাতিল, নারীদের পড়াশোনা, চলাফেরা, পোশাক, খেলাধুলা, পার্কে যাওয়া, সংবাদ উপস্থাপনের মতো বিষয়ে এক আদেশ জারি করা হয়েছে দেশটিতে।

নতুন আদেশে ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় মুখমণ্ডলসহ নারীদের সারা শরীর কাপড়ে ঢেকে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমন করে ঢাকতে হবে, যাতে কোনো নারী বা মেয়েকে দেখে কোনো পুরুষ ‘প্রলুব্ধ’ না হয়। নারীর কণ্ঠস্বরকে গোপন রাখতে বলা হয়েছে।

আইনে বলা হয়েছে, ‘প্রাপ্তবয়স্ক কোনো নারী যখন প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যাবে, তাকে অবশ্যই তার কণ্ঠস্বর, মুখমণ্ডল ও শরীর গোপন রাখতে হবে।’ ফলে জনসম্মুখে জোরে কথা বলা কিংবা গান গাওয়ার মতো কাজ আফগান নারীরা করতে পারবেন না।

নতুন আইন অনুযায়ী, স্বামী বা রক্তের সম্পর্কের (পিতা-ভাই) নয়–এমন কোনো পুরুষের দিকে সরাসরি তাকাতে পারবে না নারীরা। পুরুষ সঙ্গী নেই এমন কোনো নারীকে গাড়িতে তুললে চালককে শাস্তি পেতে হবে। আর যেসব নারী এসব আইন পালনে ব্যর্থ হবে, তাদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

নতুন আইনটি আফগান সমাজকে আরো সুন্দর ও সুশৃঙ্খল করেছে।

তালেবান সরকারের উপমুখপাত্র হামদুল্লাহ ফিতরাত বলেন, ইসলামি শরিয়া আইনের আলোকে এই আইনটি সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা (হায়বাতুল্লাহ আকুন্দজাদা) অনুমোদন করেছেন। যেকোনো ইসলামিক বিশেষজ্ঞ তা খতিয়ে দেখতে পারেন।

নারীদের ওপর বিধিনিষেধ নিয়ে তালেবান সরকারের এটিই প্রথম আদেশ ছিল না। তিন বছর আগে ক্ষমতা গ্রহণ করেই নারীদের চলাফেরা নিয়ে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছিল শাসকগোষ্ঠীটি। এরপর কাবুল থেকে শুরু করে দেশটির অন্য শহরগুলোর রাস্তায়, বাজারে নারীর উপস্থিতি কমতে থাকে। এখন তা শূন্যের কোঠায় এসে ঠেকেছে।

এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে চাপে থাকলেও খুব একটা পাত্তা দিচ্ছে না তালেবান সরকার।

রাজধানী কাবুলের মতো শহরগুলোতে রাস্তায় অল্পসংখ্যক নারীদের দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু তাঁদের প্রায় সবাই কালো অথবা গাঢ় নীল রঙের মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢাকা ঢিলেঢালা বোরকার মতো পোশাক পরে থাকেন। অধিকাংশের পুরো মুখমণ্ডল ঢাকা থাকে, শুধু চোখ দেখা যায়।

গত ১১ অক্টোবর/২০২১ সালের সোমবার
সাভারে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগ’ আয়োজিত ‘ইঙ্গ-মার্কিন প্রচারণা এবং আফগানিস্তান প্রশ্নে তালেবান’ শীর্ষক সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি নিজেই আমেরিকার ওয়াশিংটনে ছিলাম, সেখানে মেয়েরা যতটা না নিরাপদ, আফগানিস্তানে বর্তমানের মেয়েরা তার চেয়ে বেশি নিরাপদ।

অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানুর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাহমান চৌধুরী। আলোচনায় আরও অংশ নেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন ও ড. তাসাদ্দেক আহমেদ।