DoinikAstha Epaper Version
ঢাকারবিবার ৫ই মে ২০২৪
ঢাকারবিবার ৫ই মে ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

নির্বাচনের আগেই সম্পর্ক উন্নয়ন! না অবনতি!

Abdullah
জুন ২৮, ২০২৩ ১২:৩৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

নির্বাচনের আগেই সম্পর্ক উন্নয়ন! না অবনতি! ভোটের আগে চার দেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী জুলাইয়ে ইতালি আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা সেপ্টেম্বরে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। তাহলে নির্বাচনের আগেই সম্পর্ক উন্নয়ন হবে পরাশক্তি রাষ্ট্র গুলোর সাথে।

আস্থা ডেস্কঃ

আগামী তিন মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালি, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত এবং আমেরিকা সফরে যাবেন জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে।

চার দেশ সফর থেকে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এ সময় ঘনিষ্ঠ দুই মিত্র ভারত ও চীনের সরকার প্রধানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সম্ভাবনা আছে। একই সঙ্গে আমেরিকা ও রাশিয়ার সরকার প্রধানের সঙ্গে দেখা ও কথা হতে পারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব সফরকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ সরকারের নীতিনির্ধারকরা। সরকারের একাধিক নীতিনির্ধারক এসব তথ্য জানিয়েছেন।

 

জুলাইয়ে ইতালির রোমে, ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অরগানাইজেশনের (ফাউ) কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীনসহ জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সরকার প্রধানদের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। সম্মেলনে পশ্চিমা দেশগুলোর সরকার প্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে মার্কিনিদের ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে বাস্তব অবস্থার একটি বিশদ ব্যাখ্যা দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।

আগস্টের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে রয়েছে ব্রিকস সম্মেলন। এ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যোগ দেবেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনেরও যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। সম্মেলনে দেশগুলোর সরকার প্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ এবং বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে আলোচনার সুযোগ তৈরি হবে।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী এই সেপ্টেম্বর মাসে ভারত সফরে যাবেন। দ্বিতীয় সপ্তাহে অর্থাৎ ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর জি২০ সম্মেলনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রীর এ ভারত সফর। এর আগে জুলাইয়ে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলকে ভারত সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

 

সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন সূত্র প্রধানমন্ত্রীর এ চার দেশ সফরের তথ্য নিশ্চিত করেছে। এই সম্মেলনেও দেশ গুলোর সরকার প্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ এবং বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে আলোচনার সুযোগ তৈরি হবে।

 

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার টানা ৩ মেয়াদের শাসনামলে দেশ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দূর করেছে। এসব কারণে ভারত বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপারে ইতিবাচক। আগামীতে দু-দেশের সরকার প্রধানের দেখা-সাক্ষাতে এসব বিষয় স্থান পেতে পারে। সেই সাক্ষাৎ থেকে ভবিষ্যতে পারষ্পরিক সুসম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার ঘোষণা আসতে পারে।

আরো পড়ুন :  মহান মে দিবস আজ

 

এছাড়াও সরকারের এক নীতিনির্ধারকগন মনে করছে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে দুই গুরুত্বপূর্ণ শক্তির একটি হচ্ছে চীন অপরটি ভারত। এর মধ্যে মিত্র ভারত আমাদের প্রতিবেশী। চীন আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের সম্পর্কের অবনতি হলেও বাংলাদেশ প্রশ্নে বর্তমানে প্রায় অভিন্ন নীতিতে এই দুটি দেশ। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিনিয়োগকে কেন্দ্র করে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে বর্তমান সরকারের। বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে ভারত।

 

অন্যদিকে সাম্প্রতিক বছর গুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। দেশটি প্রথমে র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার প্রশ্নে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে।

 

যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররাও বাংলাদেশ প্রসঙ্গে নানা ধরনের বিবৃতি দিচ্ছে। যা সরকারের ওপর এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করেছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে চাপে সরকার দুর্বল হয়ে গেছে এমন নয়। সরকার যে ভয় পায়নি তার নজির হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সম্পর্কে প্রকাশ্যে মন্তব্য করে তার নিন্দা জানিয়েছেন।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এসব সফরে বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা হবে। তাদের কাছে প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে অনেক বিষয় ফের ইতিবাচক ধারায় ফিরবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করছেন। মূলত এসব কারণেই চার দেশ সফরকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন।

 

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল এটাও মনে করছে, ২১ জুন অনুষ্ঠিত জো বাইডেন ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উল্লেখ না থাকায় সরকারের বিরোধীরা উল্লসিত বলেও মনে করা হচ্ছে। সরকার বিরোধীরা মনে করছে, প্রতিবেশী ভারতের সমর্থন সত্ত্বেও বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ এবং বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার যুক্তি দেখিয়ে ভারত যদি বর্তমান সরকারের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে তাতেও কোনো লাভ হবে না।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৩:৫৭
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:৩৩
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:০২
  • ১১:৫৯
  • ৪:৩১
  • ৬:৩৩
  • ৭:৫৩
  • ৫:২১