বুধবার (২৬ জুন) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ধারাবাহিক ‘আজ রবিবার’ নাটকের নির্মাতা মনির হোসেন জীবন।
(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা সনি রহমান।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, জীবন ভাই রাতে হঠাৎ ব্রেইন স্ট্রোক করেন। পরে দ্রুত তাকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শেষ চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেননি।
সনি রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বেলা ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ঢাকা শিল্পকলা একাডেমিতে তার লাশ রাখা হবে সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধার জন্য। পরে সেখানে প্রথম জানাজা শেষে তার লাশ নিয়ে যাওয়া হবে গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার মনোহরদীতে। বাদ আসর দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
১৯৯৩ সালে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে পরিচয় মনির হোসেন জীবনের। এর অগে সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করতেন। হুমায়ূন আহমেদের ‘আগুনের পরশমণি’ সিনেমাতে ভাড়াটে সহকারী পরিচালক ছিলেন তিনি। পরে ‘নক্ষত্রের রাত’ নাটকে প্রথম প্রধান সহকারী হিসেবে কাজ করেন। ‘আজ রবিবার’ নাটক দিয়েই টিভি মিডিয়াতে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন মনির হোসেন জীবন। এরপর অসংখ্য নাটক নির্মাণ করেছেন তিনি।
২০০০ সাল থেকে মনির হোসেন জীবন তার নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা ‘স্বাধীন চলচ্চিত্র’ গঠন করেন। তার প্রযোজনা সংস্থা থেকে তিনি অসংখ্য একক নাটক নির্মাণ করেন। এর মধ্যে ‘শাদা কাগজ’, ‘বন্যার চোখে জল’, ‘অপ্রত্যাশিত প্রত্যাশা’, ‘অতঃপর নিঃস্বঙ্গতা’, ‘একজন ময়না’, ‘গানম্যান’, ‘বিবাহ সংকট’, ‘কোরবান আলীর কোরবানী’ উল্লেখযোগ্য।
এ ছাড়াও টেলিফিল্ম, ধারাবাহিক নাটক, প্রামাণ্যচিত্র, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেছেন তিনি।
এমকে/আস্থা/ মমিতা