নেত্রকোণায় শঙ্কা কাটিয়ে ঘরে তুলছেন স্বপ্নের সোনালী ফসল
আব্দুর রহমান ঈশান/নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ
নানা প্রতিকূলতা ও শঙ্কা কাটিয়ে স্বপ্নের সোনালী ফসল ঘরে তুলছেন নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলের কৃষকরা। আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে হারভেস্টার মেশিন ব্যাবহারে এরইমধ্যে ৮৫ ভাগেরও বেশি ধান কর্তন সম্ভব হয়েছে। এখন ধান সিদ্ধ ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। হাওর বেষ্টিত প্রতিটি গ্রামেই নতুন ফসল ঘরে তোলার আনন্দে মেতেছে পরিবারের শিশু কিশোরসহ বয়স্করা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে নেত্রকোনার মদন মোহনগঞ্জ ও খালিায়াজুরীসহ বিভিন্ন হাওরে রাত দিন চলছে ধান কাটাই ও মারাই কাজ। ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক কৃষাণীরা। হাওর গুলোতে সরকারের ভর্তুকি মূল্যে ৭শত ৩০টি হারভেস্টার মেশিনে ধান কাটায় এরমধ্যে সিংহভাগ ফসল ঘরে তুলতে পেরেছেন কৃষকরা। এতে একদিকে যেমন সল্প সময়ে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে তেমনি শ্রমিক সংকটও অনেকটাই নিরসন হয়েছে। ফলে কিছুটা লাভের আশা করছেন চাষিরা।
কৃষকরা বলছেন, এবছর অতিরিক্ত টাকা ব্যয়ে চাষাবাদ করতে হয়েছে একমাত্র ফসল। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ায় শিলাবৃষ্টি ও অতিরিক্ত গরমে নষ্ট হয়েছে আগাম জাতের ধান ২৮। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন অসংখ্য চাষি। যদিও অন্যান্য জাতের ধানে বাম্পার ফলন হওয়ায় ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টায় মাঠে নেমেছে তারা।
শুধু ধান সংগ্রহ নয় পাশাপাশি চলছে গো খাদ্য (খের) শুকিয়ে সংরক্ষণের কাজ। এদিকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে জেলার হাওরাঞ্চলে ধান কাটা প্রায় সম্পন্ন হয়েছে জানিছেন নেত্রকোনা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান। জেলায় এ বছর ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭ শত ৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এতে ১১ লাখ ৫৬ হাজার ১শত ৬২ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে। শুধুমাত্র হাওরেই আবাদ হয়েছে ৪১ হাজার হেক্টর জমি। যেখানে ২লাখ ৬৪ হাজার ৯শত ৯২মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।