রাজশাহীতে নগরের উপকণ্ঠে পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এ ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীসহ দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। আরেক যুবককে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চত করেছেন রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন। তিনি জানান, নৌকায় মোট ১৩ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁরা বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের নবগঙ্গা এলাকায় পদ্মা নদীতে নৌকাভ্রমণে বের হয়েছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। নৌকার যাত্রীদের কেউ কেউ ঢাকা থেকে রাজশাহীতে বেড়াতে এসেছিলেন।
শনিবার থেকে ভারী বৃষ্টি, বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর নাম সুচনা (২০)। তিনি ঢাকার আমেরিকা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। থাকেন ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায়। তিনি পবা উপজেলার খোলাবোনা এলাকায় চাচা জালাল উদ্দিনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। নিখোঁজ আরেকজনের নাম রিমন (১৪)। তার বাড়ি নওগাঁয়। এ ছাড়া ইসতিয়াক আহমেদ ওরফে হৃদয় (২৭) নামের একজনকে উদ্ধার করে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর বাড়ির ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
খোলাবোনা এলাকার কৃষক ও নৌকার মাঝি পিয়ারুল ইসলাম নৌকাডুবির পর সাতজনকে উদ্ধার করেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ওই নৌকা ছোট ছিল। তিনি তাঁদের নিষেধ করতে করতেই তাঁরা নৌকা ছেড়ে দেন। কিছুক্ষণ পরই তা ডুবে যায়। তাঁর হাতেই তাঁর নিজের নৌকার হাল ছিল। তিনি নৌকার ইঞ্জিন চালু করে সেখানে গিয়ে সাতজনকে উদ্ধার করেছেন।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ৮টা) ডুবে যাওয়া নৌকাটিও উদ্ধার করা যায়নি। তাঁদের অভিযান কিছুক্ষণের মধ্যে শেষ হবে। শনিবার ভোরে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।