পরকীয়া জেনে যাওয়ায় শ্বশুরকে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পরকীয়ার ঘটনা জেনে যাওয়ায় শ্বশুরকে ধর্ষণের মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে পুত্রবধূ প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শ্বশুর উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
আজ সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শ্বশুরের স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীর স্ত্রীর বরাতে জানা যায়, ওই গৃহবধূর স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাধে সে স্থানীয় এক যুবকের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। তাদের পরকীয়ার বিষয় জানতে পেরে তার শ্বশুর প্রবাসে থাকা ছেলেকে অবহিত করে। এই নিয়ে পরিবারে জগড়া বিবাধ হলে ওই গৃহবধূ শ্বশুরকে হুমকি দেয় যে, বেশি বাড়াবাড়ি করলে জেলের ভাত খাওয়াবো।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে আরও বলা হয়, এর পরে ওই গৃহবধূ শ্বশুরের নামে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ শ্বশুরকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।
এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুরকে গ্রেফতারের পর এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় বইছে। ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া একাধিক পোস্ট ও ভিডিওতে দেখা গেছে, শ্বশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগকারী ওই গৃহবধূ টিকটক ব্যবহার করেন। টিকটকের সূত্রে স্থানীয় আরেক টিকটকার যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের এক সঙ্গে করা একাধিক টিকটক ভিডিও রয়েছে। এসব ভিডিওর কোনোটিতে ওই যুবক তাকে ঘড়ি পরিয়ে দিচ্ছে, কোনোটি একে অপরের হাত ধরে আছেন।
এর আগে শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের নিজ বাড়ি থেকে ওই শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলাসূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাতে সেহেরি খাওয়ার পূর্বে শ্বশুর কৌশলে পুত্রবধূর কক্ষে প্রবেশ করে ঘুমন্ত অবস্থায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, গৃহবধূ বাদি হয়ে এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। ওই মামলায় শ্বশুরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। ওই গৃহবধূকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।