রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর মুখ এসিডে ঝলসে দিয়েছে স্বামী। ঘটনার পর ভুক্তভোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর থেকে পলাতক স্বামী মুরাদ।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, মামলা না হলেও অভিযুক্তকে ধরতে তৎপরতা চালাচ্ছেন তারা।
রাজবাড়ীতে পদ্মার পানি বিপদ সীমার উপরে গোদার বাজারে ফের ধ্বস
স্বজনরা জানান,বছর দেড়েক আগে গোদাগাড়ীর গোগ্রাম ইউনিয়নের মাহবুবা বেগমের সাথে ভালোবেসে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী কুমুরপুর এলাকার মুরাদ আলীর। কিছুদিন পার হতেই যৌতুকসহ নানা কারণে স্ত্রীর ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করে মুরাদ। এক পর্যায়ে পারিবারিক কলহের কারণে বাধ্য হয়ে মাস ছ’য়েক আগে বাবার বাড়িতে চলে আসেন মাহবুবা।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে জানালা দিয়ে ঘুমন্ত স্ত্রীর মুখে এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যান স্বামী মুরাদ। এসময় মাহবুবার মুখ ঝলসে গেলেও সামান্য আহত হন তার মা ও ছোট ভাই।
পরে চিৎকার করলে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে প্রেমতলী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার সকালে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়।
গোদাগাড়ী প্রেমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘তার মুখে এবং জিহ্বায় ইঞ্জুরি ছিল। তারপর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করে দিয়েছিলাম।’
এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগীর ভাই বলেন, ‘তার মুখে বাম পাশ পুরো পুড়ে গেছে। পিঠ এবং হাতও পুড়ে গেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এদিকে, পলাতক স্বামী অভিযুক্ত মুরাদকে ধরতে অভিযান চলছে বলে জানায় পুলিশ।
গোদাগাড়ী থানার ওসি খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘মাহবুবা বেগমের স্বামী মুরাদ এই ঘটনাটা ঘটিয়েছেন। সে এই ঘটনার পর থকে পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
গোদাগাড়ী উপজেলার রানীনগরের একটি স্থানীয় মাদ্রাসায় দশম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত মাহবুবা বেগম। তার স্বামী মুরাদ ট্রাকের হেলপার।