পালিয়ে বিয়ে করলেন ছেলে, পদ হারালেন বাবা
আন্তর্জাকিত ডেস্কঃ
ভারতের লাদাখ রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি নাজির আহমদকে বরখাস্ত করা হয়েছে ‘ছেলে পালিয়ে বিয়ে করার’ অভিযোগে। তবে শুধু যে পালিয়ে বিয়ে করার জন্য এই বহিষ্কার, তা কিন্তু নয়। এর পেছনে ধর্মীয় উদ্বেগের বিষয় জড়িত বলে স্বীকার করেছে খোদ বিজেপি।
যদিও বিয়ে করা যুবক-যুবতী দুজনই প্রাপ্তবয়স্ক। বিজেপির বক্তব্য- এই ঘটনা এলাকায় সাম্প্রদায়িক ঐক্যকে বিপন্ন করে তুলতে পারে। এনডিটিভির প্রতিবেদন বলছে, মাসখানেক আগে লাদাখে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এক মহিলার সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন মঞ্জুর আহমদ নামে এক যুবক।
এরপর থেকে তাদের কোনো খোঁজ নেই। তাদের খুঁজে না পাওয়ার কারণে মঞ্জুর আহমদের বাবা নাজির আহমদকে বহিষ্কার করা হয়। বুধবার দলের কার্যনির্বাহী বৈঠকের পর লাদাখ বিজেপি প্রধান ফুনচোক স্ট্যানজিন বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানান। এ নিয়ে দলের পক্ষে একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, পুরো বিষয়টি সংবেদনশীল। তাই অনেক ভেবে নাজির আহমদকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, বিজেপি নেতার ছেলের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী একজনকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা লাদাখের ধর্মীয় সম্প্রদায় গুলোর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এই ঘটনা এলাকার মানুষের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐক্যকে বিপন্ন করতে পারে।
৭৪ বছর বয়সী নাজির আহমদ বলেন, বহিষ্কারের ঘটনায় মর্মাহত হয়েছি। পালিয়ে বিয়ে করার ঘটনায় আমি নিজেও বিরক্ত ও বিপর্যস্ত। তার দাবি, তিনি ও তার পরিবার বৌদ্ধ তরুণীর সঙ্গে ছেলের বিয়েতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। বিয়ের বিরোধিতা করার পর ছেলে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। গত এক মাস ধরে ছেলে ও তার বউ কোথায় আছে জানি না।
তার বক্তব্য, ছেলে যখন পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে, তখন আমি হজ যাত্রার জন্য সৌদি আরবে ছিলেন। আমার ছেলের বয়স ৩৯। যাকে বিয়ে করেছে তারও বয়স ৩৫। আমার বিশ্বাস, ওরা অনেক আগেই সামাজিক বিয়ে করেছিল। সম্প্রতি ওরা আইনি বিয়ে করেছে।
নাজির বলেন, জানি না দল কেন আমার ছেলের বিয়ের জন্য আমাকে দোষারোপ করছে। আমাদের পুরো পরিবার এই বিয়ের বিরোধিতা করেছিল। আমি ওদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছিলাম। ওদের খুঁজতে শ্রীনগরসহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। কিন্তু খোঁজ পাইনি।
ছেলেকে খুঁজে বের করতে না পারার কারণে নাজির আহমদকে দল থেকে বহিষ্কার করার আগে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল দলের পক্ষ থেকে। কিন্তু তিনি রাজি হননি বলে জানান।