ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo খাগড়াছড়িতে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত Logo পাহাড়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বাড়াতে টার্গেট সেনাবাহিনী Logo খাগড়াছড়িতে সেনা ক্যাম্প স্থাপনে বাধা প্রদানের প্রতিবাদে ঢাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল Logo একটি স্নাইপার বুলেটই যথেষ্ট: বাঙালি নেতাকে কেএনএফ-এর হুমকি! Logo খাগড়াছড়িতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে ইউপিডিএফ Logo সামনে ঘোর অন্ধকার-আমরা ঘুমাচ্ছি Logo খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বাষিকী পালিত Logo কিশোরগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Logo হোসেনপুরে পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতারা Logo কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান

পূর্বে বেচতেন পর্ন সিডি, এখন বেচেন অবৈধ মদ!

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৭:০৫:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১১০৬ বার পড়া হয়েছে

রেস্টুরেন্টের মালিক মেহেরুন সারা মনসুর। একই ঠিকানায় বারের লাইসেন্স সফিউল্লাহ আল মুনিরের নামে। অবৈধ বিদেশি মদ ও শিসা রাখায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানের পর বার মালিক মুনীরের বিরুদ্ধে মামলা না করে রেস্টুরেন্ট মালিককে আসামি করা হয়েছে।

অথচ অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুকুল জ্যোতি চাকমাই এই ঠিকানায় বারের লাইসেন্স দিয়েছিলেন।

স্বর্ণের বাজার এখন একপ্রকার জুয়ার আখড়ায় পরিণত হয়েছে

গুলশানের হর্স অ্যান্ড হর্স রেস্টুরেন্ট। মালিক মেহেরুন সারা মনসুর। ৩ বছর ধরে তিনি ব্যবসা করে আসছিলেন। দুই মাস আগে তার সঙ্গে ব্যবসায়িক পার্টনার হন সফিউল্লাহ আল মুনির। মুনিরের, বার লাইসেন্স থাকায় রেস্টেুরেন্টের সঙ্গে যুক্ত হয় বারও।

বুধবার রাতে হর্স অ্যান্ড হর্স রেস্টেুরেন্টে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, বিয়ার ও শিসা জব্দ করা হয়। মামলার আসামি করা হয় রেস্টুরেন্ট মালিক মেহেরুন সারা মনুসুরসহ ৩ জনকে। আসামি কর্মচারী রাশেদ ও নাহিদকে তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু বার লাইসেন্সের মালিক সফিউল্লাহ আল মুনিরকে আসামি করা হয়নি।

রেস্টুরেন্টের কর্মচারীরা জানান, মেহেরুন সারাকে ব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশে হাসিল করে আসছিলেন মুনীর। তাদের অভিযোগ, মুনীরকে বাঁচিয়ে দিয়ে নিরপরাধ ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, মাত্র এক মাসের মধ্যে ট্রেড লাইসেন্স, বার লাইসেন্স ও সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন পেয়ে যান শফিউল্লাহ আল মুনীর। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মুকুল জ্যোতি চাকমার স্বাক্ষরে বার লাইসেন্স পান মুনীর। ঐ একই কর্মকর্তা অভিযানে নেতৃত্ব দিলেও মুনীরকে আসামি করেননি।

মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মুকুল জ্যোতি চাকমা বলেন, বিষয়তা এমনই হতে পারে সেখানে দুই ব্যবসা হতে পারে। একই ফ্লোরে অনেক ব্যবসা তো হতেই পারে।

২০০৮ সালে পর্ন সিডিসহ আটক হয়েছিলেন মুনির। ব্যবসায়ী পরিচয়ের পাশাপাশি কৌশলে তিনি ক্রীড়া সংগঠক বনে যান। ছিলেন হকি ফেডারেশনের সহ সভাপতি। বর্তমানে সাইক্লিংসহ আরো কয়েকটি ফেডারেশেনের সঙ্গে জড়িত। ক্রীড়া সংগঠনের আড়ালে তার বিরুদ্ধে বহু প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।

চেক জালিয়াতির একটি মামলায় বর্তমানে কারাগারে থাকায় শফিউল্লাহ আল মুনিরের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পূর্বে বেচতেন পর্ন সিডি, এখন বেচেন অবৈধ মদ!

আপডেট সময় : ০৭:০৫:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

রেস্টুরেন্টের মালিক মেহেরুন সারা মনসুর। একই ঠিকানায় বারের লাইসেন্স সফিউল্লাহ আল মুনিরের নামে। অবৈধ বিদেশি মদ ও শিসা রাখায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানের পর বার মালিক মুনীরের বিরুদ্ধে মামলা না করে রেস্টুরেন্ট মালিককে আসামি করা হয়েছে।

অথচ অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুকুল জ্যোতি চাকমাই এই ঠিকানায় বারের লাইসেন্স দিয়েছিলেন।

স্বর্ণের বাজার এখন একপ্রকার জুয়ার আখড়ায় পরিণত হয়েছে

গুলশানের হর্স অ্যান্ড হর্স রেস্টুরেন্ট। মালিক মেহেরুন সারা মনসুর। ৩ বছর ধরে তিনি ব্যবসা করে আসছিলেন। দুই মাস আগে তার সঙ্গে ব্যবসায়িক পার্টনার হন সফিউল্লাহ আল মুনির। মুনিরের, বার লাইসেন্স থাকায় রেস্টেুরেন্টের সঙ্গে যুক্ত হয় বারও।

বুধবার রাতে হর্স অ্যান্ড হর্স রেস্টেুরেন্টে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, বিয়ার ও শিসা জব্দ করা হয়। মামলার আসামি করা হয় রেস্টুরেন্ট মালিক মেহেরুন সারা মনুসুরসহ ৩ জনকে। আসামি কর্মচারী রাশেদ ও নাহিদকে তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু বার লাইসেন্সের মালিক সফিউল্লাহ আল মুনিরকে আসামি করা হয়নি।

রেস্টুরেন্টের কর্মচারীরা জানান, মেহেরুন সারাকে ব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশে হাসিল করে আসছিলেন মুনীর। তাদের অভিযোগ, মুনীরকে বাঁচিয়ে দিয়ে নিরপরাধ ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, মাত্র এক মাসের মধ্যে ট্রেড লাইসেন্স, বার লাইসেন্স ও সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন পেয়ে যান শফিউল্লাহ আল মুনীর। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মুকুল জ্যোতি চাকমার স্বাক্ষরে বার লাইসেন্স পান মুনীর। ঐ একই কর্মকর্তা অভিযানে নেতৃত্ব দিলেও মুনীরকে আসামি করেননি।

মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মুকুল জ্যোতি চাকমা বলেন, বিষয়তা এমনই হতে পারে সেখানে দুই ব্যবসা হতে পারে। একই ফ্লোরে অনেক ব্যবসা তো হতেই পারে।

২০০৮ সালে পর্ন সিডিসহ আটক হয়েছিলেন মুনির। ব্যবসায়ী পরিচয়ের পাশাপাশি কৌশলে তিনি ক্রীড়া সংগঠক বনে যান। ছিলেন হকি ফেডারেশনের সহ সভাপতি। বর্তমানে সাইক্লিংসহ আরো কয়েকটি ফেডারেশেনের সঙ্গে জড়িত। ক্রীড়া সংগঠনের আড়ালে তার বিরুদ্ধে বহু প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।

চেক জালিয়াতির একটি মামলায় বর্তমানে কারাগারে থাকায় শফিউল্লাহ আল মুনিরের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।