কঠিন পথ পেরিয়ে সেমিফাইনালে উঠে আসা চট্টগ্রাম আবাহনীকে কাল চেনাই যায়নি। বিশেষ করে তাদের ব্যাকলাইন পুরোপুরি অসহায় মনে হয়েছে। বলতে গেলে সাইফের তিনটি গোলেই অবদান আছে চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্ডারদের। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে আরিয়াচুকু দুর্বল রক্ষণের সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে নেন সাইফকে। সতীর্থের লম্বা ফ্রি-কিক বক্সে দিদিয়ের ক্লিয়ারে ব্যর্থ হলে বাঁ পায়ের ভলিতে বল জালে জড়ান আরিয়াচুকু। ১৬ মিনিটে আরও এগিয়ে যেতে পারত সাইফ। কিন্তু ক্যানেথের হেড ক্রসবার ছুঁয়ে বাইরে চলে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সাইফের ফরোয়ার্ড আরিফুর রহমান। ক্যানেথের স্কয়ার পাসে ঠিকঠাক পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন তিনি। ম্যাচের ৭২ মিনিটে অবশ্য ব্যবধান দ্বিগুণ করে সাইফ। ক্যানেথের এই গোলের বেশিরভাগ কৃতিত্ব আরিফুরের এবং চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্সের। আরিফ বল নিয়ে বক্সের বাম দিক ঢুকে বেশ খানিকক্ষণ আয়ত্তে রেখে স্কয়ার পাস দেন ক্যানেথকে। গোলমুখে চট্টগ্রাম আবাহনী ডিফেন্ডাররা যেন পাথর বনে গিয়েছিলেন তখন। এই সুযোগে ডান পায়ের প্লেসিংয়ে কিপার মোহাম্মদ নাঈমকে ধরাশায়ী করেন আগের চার ম্যাচে চার গোল করা ক্যানেথ। ৭৯ মিনিটে ব্যবধান ঘোচানোর সুযোগ হাতছাড়া হয়নি চট্টগ্রাম আবাহনীর। অভিজ্ঞ রাইটব্যাক নাসিরুল ইসলামের বাড়ানো বলে রাকিব হোসেনের ডান পায়ের প্লেসিং গোলকিপার পাপ্পু হোসেনকে পরাস্ত করলেও ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ৩-০ করেন ইয়াসিন আরাফাত। নিজেদের অর্ধ থেকে উজবেক সিরোজদ্দিনের লম্বা ক্রস ধরে চট্টগ্রাম আবাহনীর রাইট ব্যাক নাসিরুলকে ছিটকে ফেলে বক্সে ঢুকে দূরের পোস্টে পাঠিয়ে সাইফের জয় নিশ্চিত করেন ইয়াসিন।
সাইফকে প্রথমবারের মতো কোনো আসরের ফাইনালে তোলা বেলজিয়ান কোচ পল পুট এই জয়কে দলীয় প্রচেষ্টার সুফল হিসেবে দেখছেন, ‘একটা সংঘবদ্ধ দল হয়ে খেলেই আজ আমরা জয় পেয়েছি। প্রত্যেকে যার যার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছে বলেই সাফল্য এসেছে। এটাকে ধরে রেখে শিরোপা জেতাই হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’ আবাহনীর কোচ মারুফ মনে করেন শুরুতেই গোল খেয়ে সব কৌশল ভেস্তে গেছে তার, ‘শুরুটা খারাপ ছিল না। তবে আর্লি একটা গোল খেয়ে আমরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি। জোনাল মার্কিং করতে বলা হয়েছিল ডিফেন্ডারদের, সেটা তারা করেনি বলে বারবারই ডিফেন্স আলগা হয়েছে। যার সুযোগ সাইফ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে।’