DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাশনিবার ৪ঠা মে ২০২৪
ঢাকাশনিবার ৪ঠা মে ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রহসনের নির্বাচন গণহারে বর্জনের ডাক ইসলামী আন্দোলনের

Doinik Astha
জানুয়ারি ৪, ২০২৪ ৬:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

একতরফা প্রহসনের নির্বাচন বর্জন ও বিদ্যমান পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলবো, দেশবিরোধী অবৈধ নির্বাচনে জালিমদের সহযোগিতা করবেন না। প্রশাসনের কর্মচারী-কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলবো, প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বশীল হিসেবে জনগণের বিপক্ষে গিয়ে সরকারের কোনো অবৈধ হুকুম তামিল করবেন না। কেউ প্রহসনের নির্বাচনে সহযোগিতা করবেন না। জনবিরোধী প্রহসনের নির্বাচনে যারা সহযোগিতা করবে, জনগণ তাদেরকে কিছুতেই ক্ষমা করবে না।


বৃহস্পতিবার একতরফা প্রহসনের নির্বাচন বন্ধ, বিদ্যমান পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের দাবি এবং চলমান রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। এতে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা ইমতিয়াজ আলম প্রমূখ।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা, নির্বাচন নামের তামাশা, জুলুম, নির্যাতন, লুটতরাজ ও দুর্নীতি থেকে সরিয়ে রাখার জন্য এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, গণ অধিকারসমূহ রক্ষায় সকল পন্থা অবলম্বন করেছি। রাজপথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন, জনমত গঠন ও জনমতের প্রকাশসহ সম্ভাব্য সব কিছুই আমরা করেছি। প্রত্যাশা ছিল, সরকারে থাকা ব্যক্তিবর্গের বোধোদয় ঘটবে; তারা দেশকে গৃহযুদ্ধ ও সংঘাতের দিকে ঠেলে দেবে না। দেশের অর্থনীতি এবং জনগণের জীবনযাত্রাকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে না। কিন্তু বাস্তবতায় দেখা গেছে, সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে, অর্থনীতিকে ধ্বংস করে হলেও ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে হত্যা করা হয়েছে। দেশের সম্পদ লুটেপুটে খেয়ে নিয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্কগুলোকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং ইতিহাসের নিকৃষ্টতম শঠতায় প্রহসনমূলক নির্বাচনের অপচেষ্টা করছে। একইসঙ্গে শিক্ষা সিলেবাসের নামে জাতির ভবিষ্যত প্রজন্মকে শেষ করার পাঁয়তারা করছে।
তিনি বলেন, এই নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিরোধীদলগুলো অংশ না নেয়ার প্রধান যুক্তি ছিল, প্রার্থীদের নিরাপত্তা এবং ভোটারদের স্বাধীন মত প্রকাশে বাধা দেয়ার আশঙ্কা। আমাদের আশঙ্কা যে, যৌক্তিক ও যথার্থ ছিল তা এই পাঁতানো ও শঠতাপূর্ণ নির্বাচনেও প্রমাণিত হয়েছে। এই নির্বাচন পাঁতানো। এখানে নৌকা, ঈগল, ট্রাক ইত্যাদি যা আছে সবই শেখ হাসিনার লোক। সবাই আওয়ামী লীগের। এমনকি লাঙ্গল, সোনালী আশ, নোঙ্গরও শেখ হাসিনার আশির্বাদপুষ্ট। তারপরেও এই নির্বাচনে নৌকায় ভোট না দিলে হাত-পা ভেঙে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে বহু জায়গায়। দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয় না, এমনকি পাঁতানো নির্বাচনও সুষ্ঠু ও অবাধ হয় না।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:০২
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:৩১
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:০৭
  • ১১:৫৯
  • ৪:৩১
  • ৬:৩১
  • ৭:৫০
  • ৫:২৪