ফরিদপুরে ২৯ বছর পর হত্যা মামলার পলাতক আসামি আটক
মামুনুর রশীদ/ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের চাঞ্চল্যকর ভাগ্নের হাতে নৃশংসভাবে মামা হত্যা মামলায় আলাদত কর্তৃক যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত ও ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আব্দুল মান্নান (৫২)কে ২৯ বছর আটক করেছে র্যাব-১০।
আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল কে এম শাইখ আকতার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ৫ সেপ্টেম্বর আনুমানিক রাত পৌনে নয়টার দিকে র্যাব-১০ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর সহযোগীতায় ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গায় একটি অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করে।
তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায় এবং একই জেলার ভেড়ামারা থানার মামলা নং-০২, তারিখ-০৭/০৬/১৯৯৪ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ দন্ড বিধির আসামি আব্দুল মান্নানকে কুষ্টিয়া থেকে আটক করে। তার গ্রামের বাড়ি ভেড়ামারা থানার গোপীনাথপুর। তার পিতা আমিন উদ্দিন মিয়া।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামি উক্ত মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করে।
র্যাব আরও জানায় প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গত ১৯৯৪ সালের ৭ জুন আনুমানিক সকাল সাড়ে দশটার ঘটিকায় আসামি আব্দুল মান্নান তার আপন ছোট ভাই মোঃ নান্নুর সাথে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়। ওই দিন আব্দুল মান্নানের আপন ছোট মামা ভিকটিম মৃত ওসমান খামারু ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া বিবাদ মেটানোর জন্য তাদের বাড়িতে আসে। ভিকটিম ওসমান ধৃত আব্দুল মান্নানের বাড়িতে আসার সাথে সাথেই আব্দুল মান্নান তার মামার দিকে ধারালো বর্শা ছুড়ে মারে। উক্ত ধারালো বর্শায় ভিকটিম মৃত ওসমানের বুকের বাম পাশ ভেদ করে এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যায়। এতে ওসমান ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। উক্ত হত্যাকান্ডের পর মৃত ওসমান এর পরিবারের লোকজন কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানায় আসামি আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়ের পর থেকে আব্দুল মান্নান দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারন করে আত্মগোপন করেছিল।
সর্বশেষ ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানাধীন বাবলাতলা এলাকায় নিজের নাম ও পরিচয় গোপন করে ভুয়া পরিচয় ধারণ করে বিবাহ করে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছিল বলে জানা যায়। আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।