ফুলবাড়িয়ায় বাকতা ইউনিয়নে কুলুরচালার কাচারাস্তা যেন অভিশাপ
- আপডেট সময় : ০৫:০৮:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৩৯০ বার পড়া হয়েছে
ফুলবাড়িয়ায় বাকতা ইউনিয়নে কুলুরচালার কাচারাস্তা যেন অভিশাপ
মোঃ হাবিব/ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ফুলবাড়িয়া উপজেলার ৭নং বাকতা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে কুলুরচালা বাজার সংলগ্ন তাজু মুন্সি বাড়ী হইতে রশিদ এর বাড়ী পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা। দীর্ঘদিন কোন উন্নয়ন না হওয়ায় একটুখানি বৃষ্টি নামলেই যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। ফরে রাস্তা পরিণত হয় কাদাপানির এক হাহাকারে। এমন অবস্থা সৃষ্টি হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় গ্রামের হাজারো মানুষকে। ১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটির সংস্কার চেয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে বাকতা ইউনিয়ন যুবদল নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল ইসলাম এর বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, শীতকালে কোনোভাবে যাতায়াত করা গেলেও বর্ষায় কেবল পায়ে হেঁটে চলাচল সম্ভব হয়না। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ, অসুস্থ রোগী, কৃষক ও সাধারণ মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু রাস্তা যেন তাদের অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষাকালে ছোট যানবাহন যেমন অটো, রিকশা, চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি হেঁটে চলাও দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।
কাদায় পিছলে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও প্রায়শই ঘটে। বিশেষ করে অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার সময় পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগে পড়ে। কুলুরচালা বাজারে ১টি কোচিং সেন্টার, ১টি মাদ্রাসা, ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মসজিদ রয়েছে। প্রতিদিন এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় পাচশত ছেলে মেয়েরা আসা যাওয়া করে।
মোঃ আশিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ইউপি সদস্য বিল্লালকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করি। তিনি নির্বাচিত হলে এ রাস্তাটি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
মাদরাসাতুল মাদানী কৈয়ারচালা মাদরাসার মুহতামিম মাও. মোঃ আইয়ুব আলী বলেন, কুলুরচালা বাজার থেকে বাকতা বাজার সংযোগ সড়কটির জন্য দীর্ঘদিন যাবত ভোগান্তিতে আছি। এ বাজারে তিনটি প্রতিষ্ঠান আছে। এখানে অনেক শিক্ষার্থী ও বয়স্ক লোকজন চলাফেরা করতে পারে না। এজন্য এলাকাবাসীর সহযোগীতায় নিজেরাই ইট দিয়ে পা চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। আমরা উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। যাতে রাস্তাটি অতি দ্রুত চলাচলের উপযোগী করে দেয়।
মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ বলেন, রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে আমরা মাদরাসায় ঠিকমত আসতে পারি না। কাদায় পড়ে অনেকসময় আমাদের জামা কাপড় ও বই নষ্ট হয়ে যায়। রাস্তা হলে ঠিকমত মাদরাসায় আসতে পারবো।
ইউপি সদস্য মোঃ বিল্লাল হোসেন রাস্তাটি চলাচলে মানুষের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, ইউপি সদস্য নির্বাচিত হলে রাস্তাটি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীর সাথে আমার কথা হয়েছে সামনে প্রকল্প আসলে রাস্তাটি সংস্কার করে দিব।
ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক মাখন বলেন, রাস্তাটির বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমাকে অবহিত করছে। সামনে প্রকল্প আসলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তাটি সংস্কার করে দেওয়া হবে।