ফুলবাড়ীয়ার ভালুকজান মডার্ন গার্লসসহ ময়মনসিংহে ১১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাস করেনি কেউ
মোঃ হাবিব/ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৫৮.২২ শতাংশ। গত বছরের চেয়ে এবার পাসের হার অনেক কমেছে। ২০২৪ সালে এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৫ শতাংশ। এবারও তবে ছেলেদের চেয়ে ফল ভালো করেছে মেয়েরা। জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতেও এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। এ বছর ১ হাজার ৩২৮টি প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৫ হাজার ৫৫৮ পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে ১১টি প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থীই অকৃতকার্য হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্ট বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর সৈয়দ আক্তারুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ময়মনসিংহ বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ৩ হাজার ৩২৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও ১১টি প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। শিক্ষার্থীরা মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা না করার কারণে ফল খারাপ হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং কোনোভাবেই কাম্য নয়। শহরের প্রতিষ্ঠানগুলোর ফল ভালো হলেও গ্রামীণ ও বন্যাকবলিত অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানগুলোর ফল খুবই খারাপ হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা জানান তিনি।
শতভাগ অকৃতকার্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ভালুকজান মডার্ন গার্লস একাডেমি (৪ জন), ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার রংচাপড়া উচ্চ বিদ্যালয় (১১জন),গফরগাঁও দারোগাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় (৯ জন), ফুলপুর উপজেলার শাহ শহীদ সারোয়ার মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (৪ জন), ত্রিশালের মোক্ষপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (৭ জন), জামালপুরের রঘুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয় (৯ জন শিক্ষার্থী), মেলান্দহ উপজেলার কলাবাধা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৬ জন), বানিয়াবাড়ী এম.এ মজিদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (২ জন), সরিষাবাড়ী উপজেলার চাপড়াকোনা মনিজা আবুল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১০ জন),জামালপুরের বকশিগঞ্জ চন্দ্রবাজ হুসনা ওসমানী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১ জন) ও সভার চর মডেল জুনিয়র স্কুল (৩ জন)।
এ বছর বোর্ডের অধীনে ১ হাজার ৩২৮টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। মোট কেন্দ্র ১৫৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় বসতে ফরম পূরণ করেছিল ১ লাখ ২ হাজার ১৬১ পরীক্ষার্থী। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৫৮ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৬১ হাজার ৪৫৬ শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৬৭৮ শিক্ষার্থী।