নুরুজ্জামান আশরাফ, বাজিতপুর প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দীঘিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদ বোর্ড বাজারের পিছনে নরখালের পাড় এলাকার সাইকেল মেকার জালাল মিয়া প্রায় দু’বছর যাবৎ ভুগতেছেন কিডনি এবং লিভার সমস্যায়।
স্কুলে যাওয়ার পরিবর্তে সংসারের হাল ধরতে দৈনিক দেড়শো টাকার বিনিময়ে বারো বছর বয়সী বড় ছেলে আব্দুল্লাহ কাজ করতেন একটি দোকানে। আর সেই কর্মক্ষেত্রে একটি বিদ্যুৎ দুর্ঘটনায় মাথায় গুরুতর আঘাত পান ছেলে আব্দুল্লাহ। এখন অসুস্থ বাবার পাশেই শয্যাশায়ী একমাত্র উপার্জনকারী অসুস্থ অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে।
চিকিৎসার পেছনে সহায় সম্বল শেষ করলেও দেখতে পারছেন না সুস্থতার মুখ। অর্থ কড়ি না থাকায় হাসপাতালের বিছানা ছেড়ে বাড়িতেই কাতরাচ্ছেন মৃত্যুর যন্ত্রণায়।
অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছয় সন্তান, স্ত্রী ও বৃদ্ধ মাসহ নয় জনের পরিবার মৃত্যুর পথযাত্রী জালাল মিয়ার। উপার্জনের কেউ না থাকায় মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করতে বাধ্য হন অসুস্থ জালালের বয়স্ক মা।
স্থানীয়রা জানান, বাবা ও ছেলের চিকিৎসা করানো তো দূরের কথা তিন বেলা ঠিকমতো খাবারই জুটছে না এই পরিবারটির। খেয়ে না খেয়ে মানুষের বাড়ি থেকে দিয়ে যাওয়া খাবারেই কোনো রকম বেঁচে আছে পরিবারটি।
জালাল মিয়া ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ বাঁচতে চায়। আবার আগের মতো সাইকেলের কাজ করে ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যতের হাল ধরতে চান তিনি।
অসহায় পরিবারটি সমাজের বিত্তবান লোকদের কাছে চেয়েছে আর্থিক সাহায্য।
পরিবারের সাথে যোগাযোগের ফোন নাম্বার : 01757-813361